
তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদ গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের জামিন না মঞ্জুর করে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত বলেন, ডিআইজি মিজান প্রকাশ্যে ঘুষ লেনদেনের বিষয়ে টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দিয়ে পুলিশ বাহিনীর সুনাম নষ্ট করেছেন। যেটা পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে কাম্য নয়।
এরআগে রোববার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবীর মাধ্যমে তিনি জামিন আবেদন করেন।
ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলাটি মঙ্গলবার থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিমকে এ তদন্তভার দেয়া হয়েছে। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ডিআইজি মিজানসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তাদের বিষয়ে আইনগত সিদ্ধান্ত নেবে তদন্ত টিম। ওই টিম প্রয়োজনে যেসব স্থানে যাওয়া দরকার, সেসব স্থানে যাবে। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা দরকার, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে। দুদক মুখ দেখে নয়, দুর্নীতির ঘটনা দেখেই তদন্ত করবে।
উল্লেখ্য, বহু নাটকীয়তার পর গত ২৪ জুন ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলার অপর তিন আসামি হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রত্না ওরফে রত্না রহমান, ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে পুলিশের এসআই মাহমুদুল হাসান।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তিন কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তিন কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ২০০৪ সালের দুদক আইনের ২৬(২) ও ২৭(১) ধারা, ২০১২ সালের মানি লন্ডারিং আইনের ৪(২) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলাটি দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে দায়ের করা হয়।
দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। যেটি ছিল দুদকের সংশোধিত বিধি গেজেট হওয়ার পর নিজস্ব কার্যালয়ে প্রথম মামলা। মামলার পর দুদক টিমের পক্ষ থেকে ডিআইজি মিজানসহ চার আসামির বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। এর পরপরই তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।