
নিউজ ডেস্ক । ।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন, ‘এই অবৈধ কাজের সঙ্গে যারাই জড়িত, তাদের কঠোর শস্তি হওয়া উচিত। অপরাধী কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। সে যেই হোক।’ ক্লাব পাড়ার ক্যাসিনো বাণিজ্য একটি ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য ঘটনা ।
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘স্পোর্টস ক্লাবগুলোর প্রধান কাজ হলো খেলাধুলায় সক্রিয় থাকা। কিন্তু স্পোর্টসের নাম ভাঙিয়ে ক্লাবগুলোতে অবৈধভাবে জুয়া ও ক্যাসিনো বাণিজ্য হয়েছে। এর চেয়ে ন্যাক্কারজনক ও জঘন্য কাজ আর হতে পারে না। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে এসব অবৈধ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে। আমি চাই যারা খেলাধুলার জায়গা ক্লাব পাড়ায় এই অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্য করেছে তাদের যথাযথ বিচার হোক।’
ক্লাবগুলো থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধেই একটি গোষ্ঠি ক্যাসিনো পরিচালনা করতো। এ প্রসঙ্গে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তার জবাব ক্লাবগুলো দেবে। তবে জোর করে ক্যাসিনো চালানোর বিরুদ্ধে ক্লাবগুলো কেন আইনের আশ্রয় নেয়নি? কেন তারা থানায় মামলা বা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেনি। ক্লাবের মধ্যে অবৈধ ক্যাসিনো আর জুয়ার কারণে ক্রীড়াঙ্গনের সুনাম মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে।’
‘আমার একটাই কথা, এই অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে যেই জড়িত থাকা কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়। তাদের চিহ্নিত করে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের অপকর্ম করার সাহস কেউ না পায়। যারা এ কাজ করেছে, তারা যেই হোক তা বিবেচ্য নয়। যত বড় নেতা, প্রশাসনের ব্যক্তি কিংবা ক্লাব কর্মকর্তা হোক তাদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে’-বলেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
ক্লাবগুলোর জন্য এই জায়গা তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি) বরাদ্দ দিয়েছিল আশির দশকের শেষ দিকে। ক্লাবগুলোর কার্যক্রমের ওপর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনিটরিং ব্যবস্থা ছিল কিনা এবং এ ঘটনার পর সেটা করা হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ক্লাবগুলোকে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জায়গা দিয়েছে ঠিক। কিন্তু ক্লাবগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করা কিংবা জবাবদিহিতার মধ্যে আনার সুযোগ এনএসসির নেই। কারণ, এই ক্লাবগুলো আমাদের কাছ থেকে রেজিষ্ট্রেশন নেয়নি, আমরা তাদের কোনো বরাদ্দও দেই না। ক্লাবগুলো শুধু ক্রীড়ার কার্যক্রমই করে না, তারা নানা ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমও করে থাকে। এগুলোর রেজিষ্ট্রেশনের বিষয় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের হাতে এবং তারা বিভিন্ন খেলায় অংশ নেয় ফেডারেশনগুলোর অধীনে। তাই তাদের কোনো কার্যক্রম আর আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষণের সুযোগ আমাদের নেই।’
‘ফেডারেশনগুলো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নিবন্ধিত। যে কারণে, আমরা কিন্তু তাদের মাঝে-মধ্যেই বিভিন্ন নির্দেশনা দেই। তাদের কার্যক্রমের জবাবদিহিতা নেই। তেমন চাইলে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ফেডারেশন তাদের অধিভুক্ত ক্লাবগুলোকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে পারে। আর অবৈধ যে কার্যকলাপ হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। সরকার এ বিষয়ে কঠোর। কাউকেই ছাড় দেবে না ।