
স্টাফ
রিপোর্টার।। করোনার ভয়াবহ থাবায় আমেরিকার নিউইয়র্কে অভিবাসী সাংবাদিক
আবদুল হাই স্বপনকে নিউ জার্সিতে দাফন করা হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
সাংবাদিক স্বপন হাই কুইন্স হসপিটালে স্থানীয় সময় ৩০ মার্চ সোমবার দুপুরে
শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচংয়ে। দৈনিক মানবজমিনের
সিনিয়র ক্যামেরাপারসন স্বপন হাই নিউইয়র্কের কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন তিনি।
স্বপন হাইয়ের বড় ভাই প্রবাসী আবদুল মতিন তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
দৈনিক
মানবজমিনের সম্পাদক মাহাবুবা চৌধুরী লিখেছেন, স্বপনের মনে কষ্ট ছিল।
বহুদিন দেশে আসতে পারে না। স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে দেখা হয় না। আশা নিয়ে
বেঁচেছিল স্বপন। কাগজপত্র ঠিক হয়ে গেলে দেশে ফিরতে পারবে। বছর দুয়েক আগে ওর
কিডনি রোগ দেখা দিল। দু’/তিন বার হসপিটালেও থাকতে হলো। সুস্থ হয়ে বাড়িও
ফিরে গেল। তবে ডাক্তাররা বলে দিয়েছিল কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে।
সিদ্ধান্ত হলো ভারতে গিয়ে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হবে। এগিয়ে এলো
বাংলাদেশ কমিউনিটি। কিছু ফান্ডও সংগ্রহ করা হলো। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না।
সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে করোনা কেড়ে নিলো স্বপনকে।
এ ছাড়া জ্যামাইকার
হিলসাইড ১৫০ বসবাররত নিশাত চৌধুরী (৩২) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে
ইন্তেকাল করেছেন। সিলেটের গোলাপগঞ্জের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের প্রয়াত তাহির
চৌধুরীর মেয়ে নিশাত স্বামীসহ জ্যামাইকায় থাকতেন। চার-পাঁচ দিন আগে অসুস্থতা
নিয়ে হাসপাতালে যান তিনি। সোমবার সকালে হাসপাতাল থেকে ফোন করে তাঁর
মৃত্যুর সংবাদ পরিবারকে জানানো হয়েছে।
এর আগে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে
রোববার রাত পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে আরও আটজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।
এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে নিউইয়র্কে ২৩ বাংলাদেশির মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত
হওয়া গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে সর্বমোট ৩১ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে
জানতে পেরেছি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৮ মার্চ মৃত্যু হয়েছিল কায়কোবাদ,
শফিকুর রহমান মজুমদার, আজিজুর রহমান, মির্জা হুদা, বিজিত কুমার সাহা, মো.
শিপন হোসাইন, জায়েদ আলম ও মুতাব্বির চৌধুরী ইসমত। এ ছাড়া মিশিগান
অঙ্গরাজ্যের ড্রেটয়েট সিটি ও নিউজার্সির প্যাটারসনে দুই বাংলাদেশি নারীর
মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। তাঁদের দুজনের দেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটে বলে
জানা গেছে।