
তানভীর
দিপু: ‘কুমিল্লা’ নামেই কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে সদর আসনের
এমপি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার
বলেছেন, ‘আয়নামতি-ময়নামতি চলবে না, কুমিল্লা নামেই কুমিল্লা বিভাগ চাই।
তিনি বলেন, আমি কুমিল্লার সকল উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এলজিআরডি মন্ত্রীর
কাছে আমাদের দাবি, গোমতীর উপর গোলাবাড়ি ব্রিজসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজগুলো
করে দিতে হবে। কারণ, মুক্তিযুদ্ধ করেছি দাবি আদায়ের জন্য।
শনিবার (১৭
অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা কাবে ‘মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তানদের সংবর্ধনা’
প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে এমপি বাহার এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও
সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
সন্তান কমান্ডের সভাপতি মাসুম হামীদের সভাপতিত্বে বিশিষ অতিথির বক্তব্য
রাখেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য এরোমা দত্ত, কুমিল্ল জেলা প্রশাসক
মো. আবুল ফজল মীর, পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা
মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল প্রমুখ।
প্রধান বক্তার
বক্তব্যে এমপি বাহার বলেন, বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশ চলতেই পারে না,
বঙ্গবন্ধুহীন বাংলাদেশের কোন অস্তিত্বই নেই আমাদের কাছে। বঙ্গবন্ধুর জন্ম
না হলে আমাদের এই বাংলাদেশ হত না। এই প্রজন্মের সন্তানদেরকে বলা হয়েছে
প্রতিদিন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পড়াশুনা করতে। এসব না পড়লে উপলব্ধিই করা যাবে
না- বাংলাদেশ কিভাবে হয়েছে।
আমাদের প্রিয়নেতা স্বপ্ন দেখতেন আমাদের জাতি
পৃথিবীর অন্যান্য উন্নতজাতির মত মাথা উঁচু করে দাড়াবে। তাঁর সুযোগ্য কন্যা
শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবার চিন্তা করে বাংলার সকল
মানুষ। স্বপ্ন বঙ্গবন্ধু দেখিয়েছেন, স্বপ্ন দেখছেন আমাদের প্রিয় নেত্রী।
আমরা ২০৪১ এর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। ২০২১ এর বাংলাদেশ ইতিমধ্যে তৈরী
হয়েছে। আমরা বিশ্বে এখন মধ্যম আয়ের দেশ। তাই তো- বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন
দেখেছিলেন বাংলাদেশের, শেখ হাসিনা স্বপ্ন দেখেন ২০৪১ সালে বাংলাদেশ।
মুক্তিযোদ্ধার
সন্তানদের দায়িত্ব এখন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ২০৪১ এর বাংলাদেশ বিনির্মানে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ
ভাবে কাজ করতে হবে, অন্তত যারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান তাদের এই দায়িত্ব বহন
করতেই হবে। এখানে আপোষ করা কোন সুযোগ নাই।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনীর কর্ণেল ডা. তৌহিদা নওয়াজেশ রোজী, লে. কর্ণেল সালাউদ্দিন আল
মুরাদ, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা সরকারি মহিলা
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর জামাল নাসের, চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসার
নাশিদ নওয়াজেশ, কুমিল্লার জাগ্রত মানবিকতার সাধারণ সম্পাদক তাহসিন বাহার
সূচনা ও কুমিল্লা সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান তারিকুর রহমান জুয়েলসহ ২১ জন
মুক্তিযোদ্ধার কৃতি সন্তানকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।