বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের প্রায় ১৪৯ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছিল দুটি ইটভাটা।বিষ ফোঁড়ার মতই টিকেছিল এই ইটভাটাগুলো হাইকোর্টে দায়ের করা এক রিটের কারণে । সে রিট খারিজ হতেই চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন আজ সেই ইটভাটাগুলো উচ্ছেদ করে ।

মঙ্গলবা চট্টগ্রাম নগরের উত্তর কাট্টলী এলাকার সিডিএ লিংক রোড সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।
অভিযানে সহায়তা করেন পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের পরিচালক নুরুল্লাহ নূরী এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশ-র্যাব ও আনসার সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক জাগো নিউজকে বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর আগে উত্তর কাট্টলীর বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সংরক্ষিত ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের নিকটবর্তী প্রায় শতাধিক একর সরকারি খাস জায়গা দখল করে গড়ে উঠে দুটি ইটভাটা। এগুলো উচ্ছেদের কার্যক্রম শুরু হলে অবৈধ দখলদাররা ২০১১ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। এ রিটের কারণে এতোদিন সরকারি খাস জায়গা উদ্ধার এবং ইটভাটা উচ্ছেদ কার্যক্রম স্থবিরতায় ছিল।’
‘সম্প্রতি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারি খাস জায়গায় অননুমোদিতভাবে গড়ে উঠা পরিবেশ বিনষ্টকারী এসব ইট ভাটাগুলোর বিষয়ে হাইকোর্টের নজরে আনা হয়। বিজ্ঞ আদালত জমির মালিকানা না থাকা এবং সরকারি খাস জায়গায় ইটভাটা স্থাপনের যৌক্তিকতা না থাকায় ও বিষয়টি পরিবেশ আইন বিরোধী হওয়ায় রিটটি খারিজ করে দেন। এর প্রেক্ষিতে আজ চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে ইটভাটা উচ্ছেদ করে খাস জায়গা দখলমুক্ত করা হয়।’
তিনি জানান, প্রায় ১৪৯ একর সমুদ্র তীরবর্তী সংরক্ষিত বনাঞ্চলসহ সরকারি খাস জায়গা পরিমাপ করে সীমানা চিহ্ন ও খুটি স্থাপন করা হয়েছে ইট ভাটা উচ্ছেদ করে। এ সময় বায়েজিদ-ফৌজদারহাট সিডিএ লিংক রোড এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা একটি ইট ভাটাও উচ্ছেদ করা হয়।