শিরোনাম: |
কুমিল্লায় ভূমিহীনদের মুজিববর্ষের উপহার
মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে ৩৫৯ পরিবারে আনন্দ
|
![]() অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল ফজল মীর বলেন, ‘আমরা যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি, সেই স্বপ্ন যদি আমাদের বাস্তবায়ন করতে হয়, তাহলে আমাদের যে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আছে, তাদেরকে পূর্বাসনের কোনো বিকল্প নেই। পিছিয়ে পড়া মানুষকে মূল ¯্রােতধারার সাথে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি এবং করে যাবো। শুধু তাই নয়, তাদেরকে আরও কিভাবে অর্থনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত করা যায় এবং স্বাবলম্বী করে দেশের অর্থনীতির চাকাকে আরও সচল করতে পারি, সেই লক্ষ্যেও আমরা কাজ করছি। মূল ¯্রােতধারার সাথে পিছিয়ে পড়া মানুষকে সম্পৃক্ত করে দেশের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে চাই।’ এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সে কুমিল্লার ১৭ উপজেলায় ৩৫৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের জমি ও ঘর বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লার স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক শওকত ওসমান জানান, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভূমি ও গৃহহীন (ক) শ্রেণির পরিবার পুনর্বাসনে গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ১৯৩টি, দুর্যোগ প্রকল্পের ১৫০টি এবং ধনাঢ্য ব্যক্তিদের দেওয়া ১৬টিসহ কুমিল্লায় ৩৫৯টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার ঘর বুঝে পেয়েছেন। শনিবার প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন আনুষ্ঠানিকভাবে ওই জমি ও ঘরের কাগজপত্র ভূমি ও গৃহহীনদের হাতে তুলে দেন। সেই অনুপাতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ২৮, নাঙ্গলকোটে ১০, দাউদকান্দিতে ২৮, আদর্শ সদরে ৩১, সদর দক্ষিণে ১৮, মনোহরগঞ্জে ১৮, দেবিদ্বারে ৪৩, মুরাদনগরে ২৯, লাকসামে ১৭, মেঘনায় ১৫, লালমাইয়ে ৩৫, বুড়িচংয়ে ১৩, চান্দিনায় ১২, হোমনায় ১০, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১২ এবং তিতাসে ১২টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার জমিসহ ঘর পেয়েছে। তিনি আরও জানান, সরকারি সম্পত্তির ওপর প্রতিটি ঘর নির্মাণে বাজেট ছিল মাত্র এক লাখ ৭১ হাজার টাকা। এই টাকায় দুই কক্ষবিশিষ্ট আধাপাকা ঘরের ভেতরে রয়েছে রান্নাঘর, টয়লেট ও বারান্দা। এছাড়া সুপেয় পানির জন্য জনস্বাস্থ্য বিভাগ ও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিভাগ কাজ করেছে। |