শ্রীরামপুরের মাহেশ কলোনিতে বাড়ি ঝর্নার। ক্ষয়িষ্ণু স্মৃতি হাতড়ে টেনে আনলেন ইতিহাস। জানালেন, ১৯২০ সালে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে জন্ম ক্ষিতীশের। তাঁর বাবা স্কুল শিক্ষক ছিলেন। ছাত্র বয়সেই স্বাধীনতা আন্দোলনে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন ক্ষিতীশ। মেজ মামা ধীরেন রায়ের কাছে স্বদেশি মন্ত্রে দীক্ষিত হন তিনি। সে সময় ক্ষিতীশ যোগ দেন মহাত্মা গাঁধীর আন্দোলনে। কিন্তু অহিংস আন্দোলনে ইতি টেনে, এক সময় তিনি নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে জানাচ্ছেন ঝর্না। রায় পরিবারের হাতে যে সব নথি আছে তা থেকে জানা গিয়েছে, বর্মা (অধুনা মায়ানমার)-র কারাগারে বন্দিও ছিলেন ক্ষিতীশ। দেশভাগের পর তিনি চলে আসেন পশ্চিমবঙ্গে। ২০০৫ সালে প্রয়াত হন ক্ষিতীশ।
ক্ষিতীশ-ঝর্নার দুই ছেলে, দুই মেয়ে। বড় ছেলে রাজা শ্রীরামপুর পুরসভার অস্থায়ী সাফাইকর্মী। ছোট ছেলে অপূর্ব ভাড়ার অটো চালান। ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামী ক্ষিতীশকে স্বীকৃতি দেয় রাজ্য সরকার। রায় পরিবারের সকলেরই আক্ষেপ, রাজ্য স্বীকৃতি দিলেও, বার বার আবেদনেও কান দেয়নি কেন্দ্র। রাজার দাবি, এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দেওয়া হলেও তার কোনও জবাব আসেনি। অপূর্বের বক্তব্য, ‘‘নেতাজির জন্মদিন এলেই বাবার কথা মনে পড়ে। আমাদের দাবি, দেশের জন্য বাবার লড়াইয়ের স্বীকৃতি আর সম্মানটুকু দিক সরকার।’’