শিরোনাম: |
কুমিল্লায় ওষুধ কারখানায় বিস্ফোরণ
কাচ ও ইটের আঘাতে আহত ৭
|
![]() খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেঙ্গল ড্রাগ অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কস (ফার্মাসিউটিক্যালস্) নামের একটি ওষুধ কারখানায় অতিরিক্ত পরিমাণে কেমিক্যাল মজুদ রাখা হয়েছিলো। এই মজুদকৃত কেমিক্যাল থেকে এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পাবের বলে অনেকের ধারণা। কারখানার ম্যানেজার রেজাউল করিম জানান, সকাল ১০টার সময় হঠাৎ ভবনের ২য় তলায় বিস্ফোরণে ভবন কেঁপে উঠে। ভেঙে পড়ে ভবনের দেয়ালসহ বিভন্ন অংশ। এতে ৬/৭ জন শ্রমিক আহত হয়। এদিকে আহতদের মধ্যে শারমিন (১৬),জুলেখা বেগম( ৩৮), শামীমা (৪০), আল আমিন ( ২৫), ফাহমিদা (২০), সন্ধ্যারাণী (২২) ও ফাতেমা (৩৫) কে উদ্ধার করে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে গুরুতর আহত হওয়া কারখানার কর্মী আল-আমিন, সন্ধ্যারাণী ও কিনার শামীমা আক্তারকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের প্রধান ডাঃ মীর্জা তাইয়েবুল ইসলাম জানান, বিস্ফোরণ হলেও কারও শরীর পুড়ে যায়নি, ফেকচার হয়েছে। তাদের জেনারেল ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পাশ^বর্তী কয়েকটি কারখানার কর্মচারীরা জানান, আমরা কাজ করছিলাম। সকাল ১০টার দিকে পাশের বেঙ্গল ড্রাগ অ্যান্ড কেমিক্যাল ওয়ার্কস (ফার্মাসিউটিক্যালস্) নামের এই কারখানা থেকে হঠাৎ বিকট শব্দ আসে। এগিয়ে যেয়ে দেখি মানুষের ভিড়। কারখানার গেইট বন্ধ। পরে স্থানীয়দের উত্তেজিত হলেও গেইট খুলতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষরা। পরে দেখলাম কয়েকজকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ওসি আনোয়ারুল হক জানান, বিস্ফোরণের ঘটনা শুনেই আমরা ছুটে এসেছি। কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর সহযোগীতা করা হয়েছে। ঘটনার বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন জানান, কারখানার তিনতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই বিস্ফোরণটি হয়। খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে দোতলা থেকে উদ্ধার করা হয় আহত ব্যক্তিদের। তারা মূলত বিস্ফোরণে ভেঙে পড়া দেয়ালের ইট ও বিভিন্ন কাচের আঘাতে আহত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, কারখানার মালিকপরে দাবি, এসির বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে। তবে বিস্ফোরণের পর ভবনের তি ও দোতলায় মজুত বিভিন্ন রাসায়নিক দেখে বিস্ফোরণের সম্ভাব্য সব কারণই খতিয়ে দেখা হবে। |