তানভীর দিপু: পাশর্^বর্তী
দেশ ভারত থেকে কোভিড-১৯, সার্স, ইবোলাসহ নানান সংক্রমিত রোগবালাই যেন
বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এজন্য কুমিল্লা বিবিরবাজার স্থলবন্দরে
স্থাপন করা হচ্ছে স্বতন্ত্র চিকিৎসা ব্যবস্থা। স্ক্যানিং সেন্টার, আইসোলেশন
সেন্টার ও মেডিকেল সেন্টারের জন্য আলাদাভাবে ভবন স্থাপন করা হবে। বিশ^
স্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল হেল্থ রেগুলেশন-২০০৫ এর আওতায় এই এই
ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠছে। এই স্ক্যানিং সেন্টারে ভারত থেকে আসা কোন মানুষের
শরীরে যে কোন সংক্রমন রোগ ধরা পড়লেই জানবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। দেশের
২২টি স্থল বন্দরের মধ্যে প্রথম ধাপে যে ৭টি স্থলবন্দরে এই স্বাস্থ্য
ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে তার মধ্যে কুমিল্লা বিবির বাজার স্থল বন্দর অন্যতম।
বিশেষ এই ব্যবস্থাপনা তৈরীর লক্ষ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ
নিয়ন্ত্রন) প্রফেসর ডা. নাজমুল ইসলামসহ কুমিল্লা জেলা প্রশাসন, সিভিল
সার্জন কার্যালয়, গণপূর্ত বিভাগ, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের
জনপ্রতিনিধিরা গতকাল বিবির বাজার স্থলবন্দরের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় করেন।
এই প্রকল্পটিকে প্রযুক্তিগত সহায়তা করবে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা।
জেলা
সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন জানান, শুধু করোনা ভাইরাস নয়, যে কোন
সংক্রমতি রোগ যেন সীমানা অতিক্রম করে বাংলাদেশ এবং ভারতে ছড়িয়ে পরতে পারে
সে জন্য সরকার এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে। যা এই মুহুর্তে খুবই সময়োপযোগী। জেলা
প্রশাসন এই ব্যবস্থাপনার জন্য যত দ্রুত জমি বরাদ্দ দিবে ততদ্রুত এই আমরা
কাজ শুরু করতে পারবো। রোগের সংক্রমণ ঠেকাতে স্ক্যানিং সেন্টার,
রোগাক্রান্তকে আলাদা রাখতে আইসোলেশন এবং চিকিৎসার জন্য মেডিকেল সেন্টার
স্থাপন করা হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মোহাম্মদ শাহাদাত
হোসেন জানান, এটি খুবই উপকারী একটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা। আমরা স্বাস্থ্য
বিভাগের সাথে সমন্বয় করে আশা করি খুব দ্রুত জমি বরাদ্দ দিতে পারবো। আগামী ৬
মাসের মধ্যে এই প্রকল্পটি পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে পারবে।
সম্প্রতি
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে সারা বিশে^র মত নাকাল পরিস্থিতি পাড় করছে
বাংলাদেশও। এর মধ্যে ভারতীয় সীমান্তবর্তী জেলা হিসেবে কুমিল্লা সংক্রমণের
দিক থেকে অন্যতম শীর্ষে আছে। ভারতীয় করোনা ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টার সংক্রমণের
সময়েও কুমিল্লার ব্যাপক চাপ সামলাতে হয়েছে কুমিল্লার স্বাস্থ্য বিভাগকে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে বিবির বাজার স্থল বন্দরে করোনা ভাইরাসের জন্য
টেম্পারেচার স্ক্যানিং সেন্টারসহ একটি হেলথ বুথ বসানো হয়। দীর্ঘ করোনার
সংক্রমণের সময়ে কোন কোন সময় বন্দর কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রায়ই চালু ছিলো
পণ্য আমাদানি রপ্তানি। শুধু যাত্রী নয় পণ্য আমদানি-রপ্তানির সাথে জড়িত
যারাই ভারত থেকে আসবে তাদেরকেই প্রথমে স্ক্যান করা হবে তারা কোন সংক্রমিত
রোগে আক্রান্ত কিনা। যদি তাদের মধ্যে রোগের উপসর্গ-লক্ষণ বা উপস্থিতি পাওয়া
যায় তাহলে তাদেরকে বন্দরের আইসোলেশ সেন্টারেই রাখা হবে এবং সেখান থেকে তার
চিকিৎসা ব্যবস্থা শুরু করা হবে।