ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের স্ত্রী চার দিন আগে ‘গলায় ফাঁস নেওয়ার পর’ ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২১ বছর বয়সি অনামিকা সরকারের মৃত্যু হয় বলে তেজগাঁও থানার এসআই আমিনুল কবির জানান। অনামিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাসের স্ত্রী। গত ২২ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফারুকী পার্ক সংলগ্ন সরকারি ডরমেটরিতে অনামিকা ‘গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন’ বলে হাসপাতালকে জানিয়েছেন রাজ কুমার। এসআই আমিনুল কবির বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, অনামিকার আত্মহত্যার চেষ্টার কথা তার স্বামী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন। ঝুলন্ত অনামিকাকে নামিয়ে তিনি বাহ্মণবাড়িয়ার হাসপাতালে নেন এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন।” অনমিকার শরীর বা গলায় আঘাতের কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি জানিয়ে এসআই আমিনুল বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ কেউ করেনি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান আশিষ চক্রবর্তী বলেন, “২৩ মে বিকালে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে এখানে আনা হয়েছিল। তার স্বামীই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। মৃত্যুর সময় তিনি হাসপাতালেই ছিলেন।” ঢাকায় আনার আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিউ ল্যাব এইড কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভার্তি ছিলেন অনামিকা। ওই হাসপাতালের অন্যতম মালিক বাবুল মিয়া বলেন, “আমরা যেটা জেনেছি, গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনামিকা। আইসিইউ সাপোর্টের জন্য তাকে সদর হাসপাতাল থেকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়েছিল। কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে ঢাকায় পাঠানো হয়।” অনামিকার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন তিনি আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, সে বিষয়ে তার স্বামীর বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।