শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০
ইসলামী পর্যটনের বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই, ২০১৯, ১:০৫ পিএম |

ইসলামী পর্যটনের বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান ইসলামী পর্যটনের বিকাশে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে ‘ঢাকা অ্যাজ দ্য ওআইসি সিটি অব ট্যুরিজম-২০১৯’ উদযাপন উপলক্ষে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে এ আহ্বান জানান তিনি। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

ওআইসিভুক্ত দেশগুলোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলামী পর্যটনকে ‘বিশ্ব বাণিজ্য ব্র্যান্ড’ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ও রোডম্যাপ থাকা জরুরি। ইসলামী পর্যটনের বিকাশে আন্তঃ-ওআইসি পর্যটক প্রবাহ বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ভিসা সহজীকরণ, বিনিয়োগ বৃদ্ধি, ব্র্যান্ডিং ও মানোন্নয়নের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহ পর্যটন খাতের অবকাঠামো ও উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য তাদের বেসরকারি খাতকে একক ও যৌথভাবে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করবে।

ইসলামী পর্যটনের বিশাল আকার ও বিপুল সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ওআইসির ২০১৮ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী বিশ্বে মুসলিম ট্যুরিস্টের সংখ্যা ১৫৬ মিলিয়ন, যা ২০২০ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০ মিলিয়ন। একই বছর সারাবিশ্বের জনসংখ্যার ২৬ শতাংশ হবে মুসলিম।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, থমসন-রয়টার্সের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১৫ সালে ইসলামী পর্যটনের বাজার ছিল ১৫১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের, যার মধ্যে ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের বাজার ছিল প্রায় ১০৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ইসলামী পর্যটনের বাজার বার্ষিক ৮ দশমিক ৩ শতাংশ হারে বেড়ে ২০২১ সাল নাগাদ ২৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে।

নবরূপে বিকাশমান ইসলামী অর্থনীতির কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ইসলামী অর্থনীতি’ বর্তমানে নবরূপে বিকাশ লাভ করছে। হালাল ফুডস, ইসলামী ফাইন্যান্স, হালাল ফার্মাসিউটিক্যালস এবং প্রসাধনী, হালাল পর্যটন ইত্যাদি ইসলামিক অর্থনীতির ক্রমবর্ধমান খাত। এ খাতগুলো বিকাশের জন্য ওআইসি সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রসমূহের সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতের সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব একান্ত প্রয়োজন।

তিনি বলেন, পর্যটন খাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে জাতির পিতা বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন গঠন করেন। আমরাও এই পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছি। আমরা সারাদেশে অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি।

ঢাকার বিভিন্ন ঐতিহ্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় অনেক প্রাচীন সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায়। শুধু মুসলিম উম্মাহর জন্য না, সারা বিশ্বের মানুষের জন্য আমরা ঢাকাকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে পারি। আমাদের এখানে বিশ্ব উজতেমা হয়। যা হজের পর মুসলিমদের সবচেয়ে বড় জমায়েত। ঢাকার তেহারি, বাখরখানি খাদ্য হিসেবে খুব আকর্ষণীয়। ঢাকার জামদানি, ঢাকার মসলিন এর সুনাম ছিলো দীর্ঘদিনের। এমন অনেক নিদর্শন আছে ঢাকায়।

আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে গড়ে তোলার প্রয়াস জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে কক্সবাজার বিমানবন্দরকে উন্নত করে দিচ্ছি আমরা। ওআইসিভুক্ত দেশ চাইলে আমরা আমাদের সমুদ্র সৈকতের একটা অংশ তাদের জন্য আলাদাভাবে উন্নত করে দিতে পারি।












সর্বশেষ সংবাদ
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
বছর শেষে সৃজিতের চমক
২০২০ সাল বদলে দেবে যে ৬ স্মার্টফোন
যেভাবে রাঁধবেন নারিকেল দুধে কই মাছ
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পিইসি-জেএসসি জেডিসির ফল প্রকাশ আজ
কুমিল্লার দুই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী
অবৈধদের ফেরত না পাঠানোর লিখিত আশ্বাস চায় বাংলাদেশ
কুমিল্লায় ইউপি নির্বাচনে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৫
লেবাননে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বাংলাদেশি নারীর মৃত্যু
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২ | Developed By: i2soft