শিরোনাম: |
ব্রাহ্মণপাড়ায় ইউএনওর হস্থক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা
|
![]() ভূয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে অপ্রাপ্ত বয়সে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়ার অপরাধে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় এক কলেজ ছাত্রীর পিতাকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দিয়েছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। গতকাল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া সিদ্দিকা ভ্রাম্যমান আদালতের এ অভিযানটি পরিচালনা করেন। এসময় প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দিবেনা এমন শর্তে কনের বাব মায়ের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। জানা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার নাগাইশ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী ও নাগাইশ গ্রামের মোঃ কবির আহাম্মেদের মেয়ে মোসাঃ তামান্না আক্তার (১৭) কে পাশবর্তী উপজেলা বুড়িচংয়ের জগতপুর গ্রামের এক যুবকের সাথে বিবাহ দেওয়ার জন্য তার স্বজনরা সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহন করে। বিবাহের দার্যকৃত দিন অনুযায়ী গতকাল বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরের রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে বিবাহের অনুষ্ঠানিক কার্যক্রম চালাকালীন সময়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ফৌজিয়া সিদ্দিকা বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানতে পারেন। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাৎক্ষণিক ভাবে রূপসী বাংলা কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত হয়ে কনে তামান্না আক্তারের জন্ম নিবন্ধন দেখতে চাইলে তামান্নার বাবা কবির আহাম্মেদ একটি ভূয়া জন্ম নিবন্ধন উপস্থাপন করেন। যা অন-লাইনে সন্ধান করলে কুলসুম আক্তার নামে অন্য এক মেয়ের নিবন্ধন বলে সনাক্ত হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কনের বাবা কবির আহাম্মেদকে নিবন্ধনের বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তিনি তার মেয়ে তামান্নার জন্ম নিবন্ধনটি নকল বলে স্বীকার করেন। এসময় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কনের বাবাকে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরী করে মেয়েকে বাল্যবিবাহ দেওয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি গ্রহন করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে। পাশাপাশি কলেজ ছাত্রী তামান্নাকে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেনা মর্মে বাবা ও মায়ের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নিয়ে বিবাহের অনুষ্ঠানিক কার্যক্রম বন্ধ করে দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া সিদ্দিকা। |