
শাহীন আলম, দেবিদ্বার।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ঈদের দাওয়াতে বাড়িতে নিয়ে পাশবিক নির্যাাতন করে পুত্রবধুর চুল কেটে দিয়েছেন এক পাষ- শাশুড়ি। ঈদের দিন সন্ধ্যায় উপজেলার রসুলপুর ইউপি’র গোপালনগর গ্রামের এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আজ বুধবার বিকালে দেবিদ্বার থানায় শাশুড়িসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার গৃহবধুর স্বামী মো. নাজিম। অভিযুক্তরা হলো, গোপালনগর গ্রামের মৃত আ. রহিমের দুই ছেলে নাজমুল (২৪), হাসান (১৮), শাশুড়ি নাসিমা বেগম (৫০) ও নাজমুলের স্ত্রী ফারজানা বেগম (২১)।
লিখিত অভিযোগে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের কারণে গত দুই বছর আগে পরিবারকে না জানিয়ে সানজিদাকে বিয়ে করে নাজিম। পরিবারের লোকজন বিয়ে মেনে না নিয়ে স্ত্রী সানজিদাকে ডির্ভোস দিতে আমাকে জোর ও চাপ প্রয়োগ করে নাজিমকে। এতে রাজী না হওয়ায় নাজিম ও তার স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে নাজিম স্ত্রীকে নিয়ে পাশ^বর্তী এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়ায় আশ্রয় নেয়। এরই মধ্যে আমাদের তাদের একটি ছেলে সন্তান হয় যার বর্তমান বয়স আট মাস।
ভুক্তভোগী সানজিদা আক্তার জানান, বিয়ের পর থেকে আমার শাশুড়ি তার অন্য ছেলেদের সহযোগিতায় আমার স্বামী ও আমাকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি, মারধর ও শারীরিক নির্যাতন করে আসছিলো। ঈদেরদিন তারা আমাদেরকে দাওয়াত দেন। আমরা মনে করেছিলাম তারা সব ভুলে আমাদেরকে মেনে নিয়েছে। আমরা দুপুরে তাদের বাড়ি গেলে সন্ধ্যায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হঠাৎ আমাদেরকে মারধর শুরু করে। এদিকে আমার আট মাসের কোলের সন্তানকে রক্ষা করতে যেয়ে স্বামীকে মারধরের হাত থেকে বাঁচাতে পারিনি। একদিকে নাজমুল ও হাসান তারা দুইজনে আমার স্বামীকে মারধর করে অন্যদিকে আমার ঝাঁ আমাকে ধরে এবং আমার শাশুড়ি আমার চুলের মুঠি ধরে চুল কেটে দেয়। আমরা চিৎকার চেচামেচি করলেও আমাদেরকে উদ্ধার করতে ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেননি।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, ভুক্তভোগীর ওই নারীর স্বামী বাদি হয়ে দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সুষ্ঠু তদন্তে প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।