Published : Thursday, 10 December, 2020 at 12:00 AM, Update: 10.12.2020 12:26:33 AM

নিজস্ব
প্রতিবেদক:
কুমিল্লা টাউন হল নিয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের গঠিত কমিটি যে
গণশুনানির সিদ্ধান্ত যৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন টাউন হল আধুনিকায়নের
উদ্যোগ নিয়ে আলোচিত কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম
বাহাউদ্দিন বাহার। গতকাল বীর চন্দ্রনগর গণপাঠাগার ও মিলনায়তনটি (টাউন হল)
প্রতœসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে গঠিত কমিটির
সদস্যদের মতবিনিময় সভা শেষে সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। এমপি
বাহার আরো বলেন, টাউন হল কুমিল্লার মানুষের সম্পত্তি। এখানে কুমিল্লার
গণমানুষের অনুষ্ঠানই আয়োজন করা হয়। এনিয়ে সিদ্ধান্তের অধিকারও তাদের। সেই
৫০ জন বিশিষ্ট জন যারা টাউন হল নিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলো তাদের আমি বিশেষভাবে
অনুরোধ করছি, যেন গণশুনানিতে উপস্থিত থাকেন।
সভায় “টাউন হল” প্রসঙ্গে
কমিটির আহ্বায়ক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল
মান্নান ইলিয়াস, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব মোঃ শওকত আলী,
স্থাপাত্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক স্থপতি মোঃ আসিফুর রহমান, জেলা পরিষদের
প্রধান নির্বাহী মোঃ হেলাল উদ্দিন, স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপপরিচালক
মোহাম্মদ শওকত ওসমান, ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডয়ান হাসিবুল হাসান সুমি,
টাউন হলের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর
হাবিবুর আল আমিন সাদী, সদর এমপি’র প্রতিনিধি মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম
সাধারণ সম্পাদক আবিদুর রহমান জাহাঙ্গীর, গণপূর্ত বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী
প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সাত্তার, গণপূর্ত বিভাগ কুমিল্লা সার্কেল তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলী একিউএম শাহজালাল মজুমদার, গণপূর্ত বিভাগ ঢাকা পেকু সার্কেল
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মোঃ ফিরোজ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য,
কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার টাউন হল
ভেঙে এর আদলেই আধুনিক স্থাপনা নির্মানের জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়ে
একটি প্রস্তাবনা দেন। গত ৭ সেপ্টেম্বর এ নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ে এক সভায় টাউন হল ভেঙে বহুতল ভবন নির্মানের নকশার এ্যানিমেশন
দেখানো হয়। এ খবর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের পর ১৩৫ বছর বয়সী এই ভবন
ভাঙার বিরোধীতা করেন দেশের বিশিষ্ট শিল্পী সাহিত্যিক ও সাংবাদিকরা। তাঁরা
এই ভবনটিকে প্রতœতত্ত্ব হিসেবে সংরক্ষনের জন্য অনুরোধ জানান। এরই
প্রেক্ষিতে সংস্কৃতি মন্ত্রনালয় থেকে অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবদুল মান্নান
ইলিয়াসকে আহ্বায়ক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট বীর চন্দ্রনগর গণপাঠাগার ও
মিলনায়তনটি (টাউন হল) প্রতœসম্পদ হিসেবে সংরক্ষণ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্তের
বিষয়ে গঠিত কমিটি গঠন করা হয়।