Published : Monday, 21 December, 2020 at 12:00 AM, Update: 21.12.2020 2:02:33 AM

মাসুদ আলম ।।
মানসিক চিকিৎসার নামে শিকল বেঁধে শারীরিক নির্যাতন, অস্বাস্থ্যকর পূতি গন্ধময় পরিবেশে পায়ে শিকল লাগিয়ে চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং সুস্থ রোগীকেও অসুস্থ বলে আটক রাখাসহ এমন মানবাধিকারের চরম লংঘনের ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লায়। সরকারের কোন অনুমোদন ছাড়াই সেখানে চলে আসছিল মানসিক চিকিৎসা। কুমিল্লা সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকায় এক বাড়ির মালিক এই চিকিৎসা কেন্দ্রটি গড়ে তোলেন।
রবিবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথ অভিযান চালায়। অভিযানে চিকিৎসার নামে প্রতারণার অভিযোগে বাড়ির মালিক ফরিদ আহমদকে আদালত ২০ হাজার টাকা অর্থদ- প্রদান করেন এবং ৭দিনের মধ্যে রোগিদের তাদের অভিভাবকদের কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ প্রদান করাহয়।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম জানান, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই মানসিক চিকিৎসার নামে রোগীদের শারীরিক নির্যাতন করা, পূতি গন্ধময় পরিবেশে রোগীদের শিকল বেঁধে আটক রাখা, তীব্র শীতের মধ্যেও রোগীদের পুকুরে নেমে গোসল করতে

বাধ্য করানোসহ নানা রোমহর্ষক অভিযোগ করে প্রতিবেশী ও এলাকাবাসী। অভিযানের সময় প্রতিটি অভিযোগের সত্যতা মিলে। এ সময় সুস্থ রোগীকেও অসুস্থ হিসেবে আটক রাখা, মানবাধিকারের চরম লংঘন, অতি নিম্নমানের খাদ্য সরবরাহ, অননুমোদিত ঔষধ রাখা ও অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠান চালানোর দায়ে বাড়ির মালিককে অভিযুক্ত করা হয়। আদালত বাড়ির মালিককে বিশ হাজার টাকা অর্থদ- ও রোগীদেরকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাদের স্ব স্ব অভিভাবকগণের কাছে পৌঁছে দেয়া সহ ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ না করার মুচলেকা আদায় করা হয়।
এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন কুমিল্লা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ সৌমেন রায়।