ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমিল্লায় নজরুল ইসলামের আগমন
Published : Tuesday, 12 January, 2021 at 12:00 AM
প্রসঙ্গ ঃ শতবর্ষ আগে (১৯২১) ----
কুমিল্লায় নজরুল ইসলামের আগমনশান্তিরঞ্জন ভৌমিক ||
কাজী নজরুল ইসলাম একশত বছর আগে কুমিল্লায় প্রথম এসেছিলেন। সময়টা ছিল ১৯২১ সালের মধ্য এপ্রিল, ১৩২৭ সনের চৈত্রের শেষ। তাঁকে নিয়ে এসেছিলেন কুমিল্লার জেলার মুরাদনগর থানার দৌলতপুর গ্রামের নিবাসী আলী আকবর খান বি.এ। আলী আকবর খান একসময় কারও অনুমতি ছাড়াই কলকাতায় মুসলমান সাহিত্য সমিতিতে থাকতে আসলেন। ‘সকলেই স্তম্ভিত হলেন, কিন্তু চক্ষুলজ্জার খাতিরে কেউ কিছু বললেন না।’ তিনি তখন একটি খারাপ ব্যাধিতে ভুগছিলেন। ঠিক সে সময় নজরুল ইসলাম সাহিত্য সমিতি বাড়িতে থাকতে এলেন। তিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ফেরত হাবিলদার কাজী নজরুল ইসলাম। তখনই আলী আকবর খানের সঙ্গে নজরুল ইসলামের পরিচয় হয়। নজরুল ইসলাম পাশের কক্ষে থাকতেন এবং প্রয়োজনে তাঁকে এটা-ওটা এগিয়ে দিতে লাগলেন। দোকান থেকে তাঁকে খাবারও এনে দিতেন। এভাবেই হয়েছিল আলী আকবর খানের সঙ্গে নজরুল ইসলামের পরিচয়ের সূত্রপাত। সেজন্য নজরুল ইসলাম দৌলতপুরেও গিয়েছিলেন আলী আকবর খানের সঙ্গে। সেখানে তিনি দু’মাস ছিলেন। এই দু’মাস ছিল নজরুল-জীবনে এক ঘটনাবহুল অধ্যায়। তারপর নজরুল পরবর্তীতে চারবার এসেছিলেন কুমিল্লায়, কুমিল্লা শহরে অবস্থান করেছিলেন প্রায় নয়মাস।
ক্স    প্রথমবার ১৯২১ সালে এপ্রিলের মাঝামাঝি ৩/৪ দিন এবং দৌলতপুর থেকে ফিরে ১৭ দিন। অর্থাৎ ১৯ জুন ১৯২১ থেকে ৭ জুলাই পর্যন্ত। ৮ জুলাই কমরেড মুজফফর আহমদের সঙ্গে কোলকাতায় চলে যান।
ক্স    দ্বিতীয়বার ১৯২১ সালের নভেম্বর মাসে আসেন ও ডিসেম্বরের শেষে চলে যান। তখন প্রায় একমাস ছিলেন।
ক্স    তৃতীয়বার ১৯২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আসেন ও জুনমাসে চলে যান। এবারই দীর্ঘসময় অবস্থান করেন। চার মাসের মত।
ক্স    চতুর্থবার ১৯২২ সালের অক্টোবর মাসে আসেন, ২৩ নভেম্বর গ্রেফতার হন এবং পুলিশ তাঁকে কোলকাতায় পাঠিয়ে দেয়। তখন একমাসেরও কম সময় ছিলেন।
ক্স    পঞ্চমবার ১৯২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর বহরমপুর জেল থেকে কারামুক্তি লাভের পর সরাসরি কুমিল্লায় চলে আসেন। কখন চলে যান-তা জানা যায়নি। তবে যাওয়ার সময় গিরিবালা দেবী ও প্রমীলাকে সঙ্গে নিয়ে কোলকাতা চলে যান।
কুমিল্লা শহরে নয় মাস অবস্থান কালে তৃতীয়বার (১৯২২) যখন আসেন ও চার মাস অবস্থান করেন, তখনই নজরুল ইসলামের উপস্থিতি ও বিভিন্ন কর্মকা- নানা কারণেই উল্লেখযোগ্য। তার আগে ১৯২১ সালে নভেম্বরে যখন দ্বিতীয়বার আসেন, তখন প্রিন্স অর ওয়েলস-এর ভারত আগমনের প্রতিবাদ স্বরূপ দেশময় হরতাল ও হাঙ্গামা হয়েছিল। এ প্রেক্ষিতে অনুরুদ্ধ হয়ে নজরুল ইসলাম ‘জাগরণী’ গান রচনা করেন এবং সুর সংযোজন করে কুমিল্লার রাস্তায় মিছিল সহকারে প্রদক্ষিণ করেছিলেন এবং স্বল্পসময়ের জন্য থানায় আটক ছিলেন। তখন থেকে নজরুল ইসলাম কুমিল্লায় সুপরিচিত হয়ে উঠেন। পরবর্তীতে ১৯২২ সালে আগমন ও চারমাস অবস্থান ছিল কুমিল্লা ও নজরুলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
    চতুর্থবার এসেছেন গ্রেফতারি পরোয়ানা মাথায় নিয়ে আত্মগোপন অভিপ্রায়ে এবং গ্রেফতারও হন কুমিল্লায়। পঞ্চমবারে আগমন ব্যক্তিগত।
    তাই শতবর্ষ আগে কুমিল্লায় নজরুল ইসলামের আগমন এবং কুমিল্লা ও মুরাদনগরে এগারোমাস অবস্থান নানা কারণেই উল্লেখযোগ্য ও গুরুত্বপূর্ণ। অন্যদিকে ঐতিহাসিকও বটে। এছাড়া নজরুল-আগমনের শতবর্ষ উদযাপনের মাধ্যমে কুমিল্লাবাসী এই গৌরবদীপ্ত অধ্যায়কে স্মরণীয় করে রাখার মাধ্যমে একদিকে যেমন জাতীয় কবিকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে, অন্যদিকে নজরুল ইসলাম যে কুমিল্লার অবিচ্ছেদ্য অংশ ও বিকশিত নজরুল-জীবনে কুমিল্লার অবদান কতটুকু তা মূল্যায়নের প্রয়াস থাকবে।
    কুমিল্লা শহরে নজরুল-জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলো হলো-
ক.    কান্দিরপাড়ে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসায় নয়মাস অবস্থান এবং প্রতিজন সদস্যের সঙ্গে সখ্যতা ও বিশেষত নজরুল-প্রমীলা প্রসঙ্গ।
খ.    চারটি বাড়িতে নজরুলের নিবিড় উপস্থিতি ও ঘনিষ্ঠতা।
১.    বসন্তকুমার মজুমদার ও হেমপ্রভা দেবীর কান্দিরপাড়ের বাড়ি। নজরুল ইসলাম যখন দ্বিতীয়বার কুমিল্লায় আসলেন, তখন সকলেই জেনে যায়, তিনি গান লিখেন, ভালো গান গাইতে পারেন। বিশেষকরে চমৎকার বাঁশি বাজাতে পারেন। সেজন্য শহরের যুবকেরা দল বেঁধে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের বাসায় এসে হাজির। কিন্তু বাসার বৈঠকখানাটি ততটা বড় নয় বলে নিকটেই বসন্তকুমার মজুমদারের বৈঠকখানায় আসর বসানোর সিদ্ধান্ত হয়। নজরুল ইসলাম প্রথম এই কংগ্রেস নেতা বসন্তকুমার মজুমদার ও নেত্রী হেমপ্রভা মজুমদারের বাসায় আগমন করেন ও আন্তরিকভাবে অভ্যর্থিত হলেন। তারপর থেকেই নজরুল ইসলাম কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় দম্পতির ¯েœহ-ভালোবাসার বাঁধনে আবদ্ধ হলেন এবং রাজনীতির প্রাথমিক ছবক গ্রহণ করার সুযোগ লাভ ঘটে। নজরুল ইসলাম হেমপ্রভাদেবীকে মাতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতেন এবং তাঁকে উদ্দেশ্য করে ‘হেমপ্রভাদেবী’ নামে কবিতাটি রচনা করে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।
২.    চর্থায় নবদ্বীপ দেববর্মনের বাড়িতে নজরুল ইসলামের যাতায়াত ও তার প্রাসঙ্গিকতা উল্লোখযোগ্য। তার প্রধান কারণ, ত্রিপুরার এই রাজপরিবার ছিল তখন কুমিল্লায় সঙ্গীতচর্চার চারণক্ষেত্র। নবদ্বীপ দেববর্মনের কনিষ্ঠপুত্র কলেজ-পড়ুয়ায় শচীন দেববর্মন তখন কুমিল্লায় সঙ্গীত ও ক্রীড়া জগতে উজ্জ্বল নক্ষত্র। তখন থেকেই তাঁর নিজস্ব একটি গায়কি রীতি প্রতিষ্ঠা লাভ করতে শুরু হয়েছে। সমসাময়িককালে সুরসাগর হিমাংশু দত্ত ও গীতিকার অজয় ভট্টচার্য শচীন দেববর্মনের সঙ্গীত জীবনের নিত্য সহচর। সুতরাং নজরুল ইসলাম এই মাহেন্দ্রক্ষণে নিজেকে উপস্থাপিত করলেন সেই আসরে অর্থাৎ নবদ্বীপ দেববর্মনের চর্থার রাজপ্রাসাদে।
৩.    কুমিল্লার দারোগা বাড়ি নানা কারণেই বিখ্যাত ও ধর্মীয় পবিত্র স্থান। এ বাড়ির সন্তান মোহাম্মদ হোসেন খসরু ছিলেন উপমহাদেশের বিখ্যাত মার্গসঙ্গীতের ওস্তাদ। নজরুল ইসলাম সঙ্গীতচর্চার কারণেই মার্গসঙ্গীত শিল্পী মোহাম্মদ হোসেন খসরুর সঙ্গে পরিচিত হন ও তাঁর সান্নিধ্য লাভ করেন। তখন মৌলভীপাড়ায় জানু মিয়া সাহেবের বাড়িতে পারিবারিক জলসায় নজরুল ২/১ বার উপস্থিত ছিলেন বলে জানা যায়।
৪.    কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রতিষ্ঠাতা-অধ্যক্ষ ছিলেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু। তাঁর পরিবার ছিল সংস্কৃতিমনা। নজরুল ইসলাম যখন কলেজ হোস্টেলে ছাত্রদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন, তা শুনে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের অধ্যক্ষের আহ্বানে তাঁর বাসায় নজরুল ইসলাম অভ্যর্থনা লাভ করেন ও গান-রচনা ও পরিবেশন করেছিলেন। সময়ের বিবেচনায় তা ছিল অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ।
গ.    নজরুল ইসলাম দু’বার রাজনৈতিক কারণে এবং কবিতা রচনা করে ব্রিটিশ সরকারের বিরাগভাজন হয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন এই কুমিল্লায়। যে দু’স্থানে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়, ঐতিহাসিক তাৎপর্য বিবেচনায় সেখানে স্মারক স্থাপনের মাধ্যমে নজরুলকে স্মরণ।
ঘ.    নজরুল ইসলামকে সম্মান জানিয়ে একসময় কুমিল্লা পৌরসভা কান্দিরপাড় থেকে রাণীরবাজার-ধর্মপুর রাস্তার নামকরণ করা হয়েছিল ‘নজরুল এ্যাভিনিউ’। তার কোনো দৃশ্যমান চিহ্ন নেই। কাজেই রাস্তার কোথায় শুরু এবং শেষ কোথায় ‘নজরুল এ্যাভিনিউ’ তা স্থায়ী-দৃশ্যমান ফলক স্থাপন।
ঙ.    নজরুল ইসলামের বিচরিত স্থানসমূহে একসময় স্মৃতিফলক স্থাপন করা হয়েছিল। সেগুলো কোথাও হারিয়ে গেছে, কখনও ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে, পুনর্নিমাণও করার প্রয়াস পেয়েছে। তা একধরনের লুকোচুরি পর্যায় বালখিল্য অবস্থা। আসলে ইন্দ্রকুমার সেনগুপ্তের আস্তানায় নজরুল ইসলামের একটি স্থায়ী স্মারক থাকা আবিশ্যিক হলেও ঐ বাড়িটি বহুজনের মালিকানা ও হাত বদলে এবং স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে দালান-বাড়ি নির্মাণ হওয়ায় সেখানে আবেগ-মথিত কোনো প্রস্তাবনাই বাস্তবতায় পর্যবেশিত হওয়ার দাবি রাখেনা। তাই নজরুল ইসলামের শতবর্ষ আগে আগমনের স্মারক হিসেবে বর্তমান পূবালীচত্বরে যেখানে সিটি কর্পোরেশন দৃষ্টিকটূ রুচিহীন টেলিভিশন স্থাপন করে ¯েœা-পাউডারের বিজ্ঞাপন বিক্রি তরে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে, তা বন্ধ করে এখানে নজরুল ইসলামের শতবর্ষ আগে কুমিল্লায় আগমনের স্মৃতিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য দৃশ্যমান নান্দনিক ‘নজরুল-ভাস্কর্য’ স্থাপন করা হোক। এ দাবি কোনো ব্যক্তিগত নয়, কুমিল্লাবাসীর এবং কুমিল্লার সাহিত্য ও সংস্কৃতিসেবীদের। যেখানে ইতিহাস-ঐতিহ্য-অর্জন কোনো স্থানকে কোনো কারণে গৌরবদীপ্ত করে তাকে মর্যাদার সাথে স্থায়ী রূপ দেয়ার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের। কিন্তু সমকালে কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানব্যক্তিটি যদি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী হন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত না হন এবং অর্থ আহরণই ধ্যানজ্ঞান হয়, অন্তত তাদের দিয়ে কোনো সৃজনশীল স্থাপনা নির্মাণের প্রত্যাশা করা যায় না। বর্তমানে কুমিল্লা শহর বা নগরের অবস্থা এ পর্যায় এসে দাঁড়িয়েছে। সুতরাং এ দায়িত্ব নিতে হবে সরকারকে, সরকারের প্রতিনিধি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি অর্থ্যাৎ মাননীয় সাংসদকে। তাঁর সৃজনশীল নান্দনিক চিন্তা-চেতনা ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় ঐতিহ্যকে ধরে রাখা যেতে পারে। কারণ, কুমিল্লায় শতবর্ষ আগে যুবরাজ নজরুল ইসলাম এসেছিলেন, এটা অবশ্যই জেলাবাসীর জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরব ও অহংকারের। কুমিল্লা সবসময়ই গৌরব ও ঐতিহ্য রক্ষায় আন্তরিক।
নজরুল-আগমনের শতবর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে হবে। এতে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, সিটি কর্পোরেশন সহ কুমিল্লার প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এই উপলক্ষে আলোচনা-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান-নাটক ও নজরুল বিষয়ক গ্রন্থ প্রকাশের আয়োজন থাকবে। অবশ্যই স্থানীয় মাননীয় সাংসদের নেতৃত্বে ও পৃষ্ঠপোষকতায় সমস্ত অনুষ্ঠানমালা উদ্যাপনের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পাঁচদিন ব্যাপী উৎসবমুখর অনুষ্ঠানকে দৃশ্যমান ও নান্দনিক করার জন্য শহরকে, বিশেষ করে যেখানে যেখানে নজরুলের পদচারণা বা উপস্থিতি ছিল, সে সকল স্থানগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সাজাতে হবে। নজরুল পরিষদ মরহুম সুলতান মাহমুদ মজুমদারের ‘ফুলের জলসায় নীরব কেন কবি’ এবং মরহুম মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসের ‘কুমিল্লায় নজরুল’ ও ‘আমি যাযাবর কবি’- এ বই তিনটি প্রকাশের উদ্যোগ নিতে পারে। কারণ, মরহুম সুলতান মাহমুদ মজুমদার ছিলেন নজরুল ইসলামের ঘনিষ্ঠবন্ধু। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা ও কোলকাতায় এ বন্ধুত্বের সম্পর্কটি ছিল স্মৃতিময়। মরহুম মোহাম্মদ আবদুল কুদ্দুসই প্রথম ‘কুমিল্লায় নজরুল’ বই লিখে কুমিল্লা ও নজরুলের বিষয়টি গুরুত্ববহ করে তুলেছেন। এছাড়া ‘আমি যাযাবর কবি’ বইটিতে কুমিল্লা ও দৌলতপুরে অবস্থান কালে নজরুল ইসলাম যে সকল কবিতা ও গান রচনা করেছিলেন, তা প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যাসহ সংকলিত হয়েছে। এই তিনটি বই কুমিল্লা-নজরুল বিষয়ক প্রামাণ্য দলিল। এছাড়া এই উপলক্ষে যদি কেউ গবেষণামূলক গ্রন্থ রচনা করেন, তা হবে শতবর্ষী অনুষ্ঠানের অলংকার। অনুষ্ঠানের ব্যাপ্তি হবে সার্বজনীন এবং অংশগ্রহণের দ্বার উন্মুক্ত থাকবে। রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান সহ গুণিজনদের আমন্ত্রণ জানানো ও তাঁদের উপস্থিতি হবে কুমিল্লায় নজরুলের শতবর্ষ আগে আগমনের মাহেন্দ্রক্ষণটি অম্লান উজ্জ্বলতম অধ্যায়।