মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার খেয়াঘাট বাজারে সিএনজি ছাড়তে দেরি হওয়ায় অন্য সিএনজিতে যাওয়ার জেরে সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে দুই গ্রামবাসী জড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের ১২টিরও বেশি দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৬৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। শনিবার সকাল ১০টায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা ৪ ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের খেয়াঘাট বাজার এলাকার ইউপি সদস্য লুৎফুর রহমানের দুই ভাতিজা নূর মিয়ার ছেলে কাজল ও দিলাল রাজমিস্ত্রি কাজের জন্য শাহপুর গ্রামে যাচ্ছিলেন।
খেয়াঘাট বাজারে এসে কাজে যাওয়ার জন্য বেড়কুড়ি গ্রামের সিএনজি চালকের গাড়িতে ওঠেন তারা। গাড়ি ছাড়তে দেরি হওয়ায় তারা অন্য গাড়িতে চলে যেতে চাইলে চালকের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়।
বিষয়টি সমাধানের জন্য খেয়াঘাট বণিক সমিতির সহ-সম্পাদক মাহমুদ মিয়া, সিএনজি ড্রাইভার সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবিদ আহমদ দিপু, দৌলত মিয়া ও সুইট মিয়া আলোচনায় বসেন। এ সময় লুৎফুর রহমানের অপর ভাতিজা হেলাল মিয়া এসে সমাধান মানেন না এবং বিষয়টি তারা পারলে দেখবেন বলে চলে যান।
তখন উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পরে উভয়পক্ষের গ্রামের লোকজনও এতে জড়িয়ে পড়েন। এতে বাজারে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। একপক্ষ অপরপক্ষের দোকান ভাংচুর ও লুটপাট শুরু করে।
এদিকে উভয়পক্ষের সংঘর্ষ থামানোর সময় রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) দেব দুলাল ধরসহ চার পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
রাজনগর থানার ওসি আবুল হাসিম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়া করছেন। প্রয়োজনে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।