স্বাধীন
বাংলাদেশকে নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনাকে বারবার হত্যার
চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাংলাদেশ এগিয়ে
চলেছে। বিশ্ব আজ বাংলাদেশকে চিনেছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। যুক্তরাজ্যের
গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চের (সিইবিআর)
২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হয়েছে।
তাদের মতে, ২০৩৩ সালে বাংলাদেশ হবে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ। শুধু
অর্থনীতির সূচকেই নয়, সুশাসন-গণতন্ত্রের সূচকেও এগোচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক
লিঙ্গ সমতা সূচকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষে (৪৮তম), যেখানে ভারতের
অবস্থান ১০৮তম আর পাকিস্তানের অবস্থান তালিকার সর্বনি¤েœ। আর এসবই সম্ভব
হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের কারণে। গতকাল ছিলো তাঁর
কারামুক্তি দিবস। সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দীর্ঘ প্রায় ১১ মাস
কারাভোগের পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার দাবির মুখে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
করোনা মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনাড়ম্বরভাবে দিবসটি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে
উন্নত দেশে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যথার্থই বলেছেন, তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটি পরিকল্পিত কাঠামো
করে দিয়ে যাচ্ছে, সেই কাঠামো ধরে প্রজন্মের পর প্রজন্ম দেশকে এগিয়ে নিয়ে
যাবে। প্রকৃত অর্থেই দেশে আজ সেই কাঠামো তৈরি হয়েছে। উন্নয়ন গতিশীল হয়েছে।
এক যুগ আগেও দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ছিল চার হাজার মেগাওয়াটের নিচে। আজ
দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনক্ষমতা ২০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে। দেশের প্রথম
পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন সমাপ্তির পথে। বিদ্যুতের সহজলভ্যতার কারণে
দেশে ব্যাপক হারে কলকারখানা গড়ে উঠছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে দ্রুত।
দারিদ্র্যের হার কমছে। শতভাগ শিশু প্রাথমিক শিক্ষায় অংশ নিচ্ছে। পদ্মা
সেতু, মেট্রো রেলের কাজ শেষ পর্যায়ে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কর্ণফুলীর নিচ
দিয়ে টানেল, চার লেনের রাস্তা, নদী খনন এসবই যোগাযোগব্যবস্থায় রীতিমতো
বিপ্লব ঘটাবে। সংগত কারণেই বিশ্বব্যাপী আজ বাংলাদেশের এগিয়ে চলার এত
প্রশংসা। শুধু অবকাঠামোই নয়, প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে মুজিববর্ষে
কাউকে গৃহহীন রাখা হবে না। প্রথম দফায় ২৩ জানুয়ারি ৬৬ হাজারের বেশি গৃহহীন
পরিবারকে ঘর দেওয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুন দেওয়া হবে আরো ৫৩ হাজার পরিবারকে।
একই সঙ্গে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক
কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার ৫০টি মসজিদ উদ্বোধন করেছেন
প্রধানমন্ত্রী।
অতীতে ষড়যন্ত্র অনেক হয়েছে, ভবিষ্যতেও হবে। এসব ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।