ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কুমেকের কোভিড ইউনিট ছাপিয়ে সাধারণ ওয়ার্ডেও দ্বিগুণ রোগী
আইসিইউ’র জন্য হাহাকার, ধৈর্য্যধারন ছাড়া উপায় নেই: কুমেক পরিচালক
Published : Sunday, 1 August, 2021 at 12:00 AM, Update: 01.08.2021 12:37:22 AM

কুমেকের কোভিড ইউনিট ছাপিয়ে সাধারণ ওয়ার্ডেও দ্বিগুণ রোগীবশিরুল ইসলাম:
গতকাল শনিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা ইউনিটের সামনে সকাল ১০ টায় কালো এম্বুলেন্সে করে রোগী এসে প্রায় পৌনে এক ঘন্টা আইসিইউর জন্য অপেক্ষা করেন। কিন্তু কোন ভাবেই আইসিইউ খালি না হওয়ায় ফিরে গিয়েছে অন্য হাসপাতালে। এর কিছুক্ষন পরই ৩০ মিনিটে আসে আরো দুটি এ্যাম্বুলেন্স, ভেতরে প্রবেশ না করেই হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে এ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন গ্রহন করে রোগীরা। জানা গেছে, ওই দুই এ্যাম্বুলেন্সের রোগীরাও এসেছেন আইসিইউর জন্য, না পেয়ে ফিরে গেছেন অন্য হাসপাতালে। এভাবেই রাতে দিনে বহু রোগী সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বা শয্যা না পেয়ে  ছুটছে এক হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে।
জানা গেছে, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোন বেড খালি নেই। ৩০টি আইসিইউতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন করোনা আক্রান্তরা। আরো অন্তত ২০জন আইসিইউ বেডের জন্য অপেক্ষায় আছেন। হাসপাতালের করোনা ইউনিটে করোনা আক্রান্ত রোগীর ১৩৪টি বেডের পরিবর্তে ভর্তি আছে ১৮১ জন। ননকোভিড ইউনিটে ৩৫০ সিটের পরিবর্তে রোগী ভর্তি আছে ৬০০ জন। কুমেক হাসপাতালে করোনা রোগীর প্রচন্ড চাপ, বেড খালি নেই, ভর্তি হতে না পেরে ফিরে যাচ্ছে বহু রোগী। আইসিইউ বেডের আশায় অনেকে দীর্ঘক্ষন এম্বুলেন্সে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে । পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনার ইউনিটে  আইসিইউ, কোভিড ও ননকোভিড কোন শয্যাই খালি নেই। ঈদের পর থেকেই শয্যার জন্য হাহাকার আরো বেড়েছে। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনই নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিদিনই আসছে রোগী। পাশর্^বর্তী জেলাগুলো থেকেও আসে করোনা আক্রান্তরা। প্রতিদিন অর্ধশতাধিক রোগী আসলেও, শয্যা খালি হচ্ছে দুই তিনটি।  
তবে কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন জানিয়েছেন হাসপাতালে শয্যা সংকট হলেও আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।  স্বাস্থ্য বিধি মানতে হবে। মাস্ক পরতেই হবে।  মাস্কের কোন বিকল্প নেই। মাস্ক, মাস্ক এবং মাস্ক পরিধান করতে হবে। ছোট বড়, ধনী গরিব, শিক্ষিত অশিক্ষিত  তথা সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।
কুমেক হাসপাতালের পরিচালক ডা. মুহাম্মদ মহিউদ্দিন কুমিল্লার কাগজকে বলেন, করোনার উপসর্গ দেখা দিলেই নিকটস্থ হাসপাতালে গিয়ে করোনা পরিক্ষা করতে হবে। উপসর্গ দেখা দেওয়া মাত্রই চিকিৎসা শুরু করতে হবে। করোনা রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার পর হাসপাতালে এসে কোন লাভ নেই। তখন রোগীকে কিছু করার থাকেনা। করোনা রোগীকে শুরু থেকে চিকিৎসা দিতে পারলে বেশির ভাগ রোগী সেরে উঠে।