ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে এবার সরকারি বাহিনীর গুলিতে সন্দেহভাজন পাঁচ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়েছে। পৃথক দুই সংঘর্ষে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় ভারতের পাঁচ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার একদিন পরেই এ ঘটনা ঘটলো। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান শুরু হওয়ার পর কাশ্মীরের দক্ষিণ শোপিয়ান জেলার ইমামসাহাব এলাকায় প্রথম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রথমে পুলিশ জায়গাটি ঘিরে রাখে এবং বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আত্মসমর্পণের অনুরোধ জানায়।
কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানালে দু’পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় শুরু হয়। এতে মঙ্গলবার সকালের দিকে তিনজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়।
একই দিনে আরও একটি সংঘর্ষে শোপিয়ানের ফেরিপোরা গ্রামের একটি আপেল বাগানের মধ্যে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত দুই সন্দেহভাজন বিচ্ছিন্নতাবাদী নিহত হয়।
এর আগে বিতর্কিত ওই অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের গুলিতে ভারতের পাঁচ সেনাসদস্য নিহত হয়। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ওই হামলার ঘটনা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ।
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) কাছে একটি পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনী ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের সময় ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
১৯৪৭ সালের পর থেকেই কাশ্মীরের কিছু অংশ ভারত আর কিছু অংশ পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে কাশ্মীরকে দু’পক্ষই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে স্বাধীনতার দাবিতে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে লড়াই করে আসছে। ফলে ভারতীয় সেনাবাহিনী প্রায়ই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে ওই অঞ্চলে অভিযান পরিচালনা করে থাকে।