যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে একটি পার্কে ছিনতাইকারীর হামলায় প্রবাসী এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। নিউ ইয়র্ক পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় সময় শনিবার রাত ১টার দিকে ম্যানহাটনের সারা দ্য রুজভেল্ট পার্কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সালাহউদ্দিন বাবলুর (৫১) বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে। দেশে তার স্ত্রী, স্কুলপড়ুয়া একটি ছেলে এবং কলেজ পড়ুয়া একটি মেয়ে রয়েছে।
সিসি ক্যামেরার ভিডিও বিশ্লেষণ করে পুলিশ বলছে, ওই পার্কের একটি বেঞ্চে বিশ্রাম নেওয়ার সময় সালাহউদ্দিন ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন।
একই বেঞ্চে বসে থাকা কৃষ্ণাঙ্গ এক যুবক সালাহউদ্দিনের ইলেক্ট্রিক বাইক নিয়ে পালাতে চাইলে তিনি বাধা দেন। ধ্স্তাধস্তির এক পর্যায়ে সালাহউদ্দিনকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে বাইকটি নিয়ে চলে যায় ছিনতাইকারী।
খবর পেয়ে টহল পুলিশের একটি দল সালাহউদ্দিনে কাছাকাছি বেলভিউ হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, তিনি মারা গেছেন।
সালাহউদ্দিনের আত্মীয় মোহাম্মদ আহসান জানান, জমি বিক্রি করে বছর দুয়েক আগে দালালকে ২৫ লাখের বেশি টাকা দিয়ে বিভিন্ন দেশ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান সালাহউদ্দিন। যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় চেয়ে তার করা আবেদন অভিবাসন আদালতে বিবেচনাধীন ছিল।
নিউ ইয়র্ক সিটির ম্যানহাটনে ‘গ্রুবহাব’ অ্যাপে মাধ্যমে খাবার ডেলিভারির কাজ করতেন সালাহউদ্দিন। সেজন্য ছয় মাস আগে ধার করে ওই ইলেক্ট্রিক বাইকটি কিনেছিলেন।
নিউ ইয়র্কে নোয়াখালী সোসাইটির সভাপতি নাজমুল হাসান মানিক জানান, বছরখানেক আগে ব্রুকলিন থেকে পরিচিত আরও চারজনের সঙ্গে ম্যানহাটনে থাকতে শুরু করে সালাহউদ্দিন বাবলু।
সোনাইমুড়ি উপজেলা সমিতি এবং নোয়াখালী সোসাইটির যৌথ উদ্যোগে তার মরদেহ নোয়াখালীতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান মানিক।
সালাহউদ্দিনের হত্যাকারীর সন্ধান চেয়ে গণমাধ্যমে সিসিটিভি ভিডিও সরবরাহ করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। তার সন্ধান পেলে জানানোর জন্য একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে।
‘গ্রুবহাব’ অ্যাপের মুখপাত্র ক্যাটি নোরিস এক বিবৃতিতে সালাহউদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “আমি হতবাক ও ব্যথিত। তার পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জানাচ্ছি।”