Published : Tuesday, 23 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 23.11.2021 1:31:42 AM
নিজস্ব
প্রতিবেদক: হ্যালমেট ও মাস্ক পড়ে আসা সন্ত্রাসীরা এলোপাথারি গুলি করে
কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে হত্যা করেছে বলে জানিয়েছেন
প্রত্যক্ষদর্শীরা। ১০ থেকে ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল নগরীর পাথুরিয়াপাড়া
এলাকায় অবস্থিত কাউন্সিলর সোহেলের কার্যালয়ের পাশে সিমেন্টের দোকানে ঢুকে
কোনোকিছু বুঝে ওঠার আগেই এলোপাথারি গুলি চালাতে থাকে। হামলায় অংশ নেয়া
সন্ত্রাসীরা মাথায় হ্যালমেট ও মুখে মাস্ক পরিহিত ছিলো। এসময় তারা কাউন্সিলর
সোহেল, তার সহযোগী হরিপদ সাহাসহ এখানে থাকা আরো ৪/৫ জনকে গুলি করে পালিয়ে
যায়। তাদের গুলিতে নিহত হন কাউন্সিলর সোহেল, ১৭ নং ওয়ার্ড শ্রমিক লীগের
সভাপতি হরিপদ নিহত হন। বাকীদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা
জানান, ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী হেলমেট ও মাস্ক পড়ে এসে গুলি শুরু করে।
এক পর্যায়ে তারা কাউন্সিলর সৈয়দ মো: সোহেলকে শুইয়ে গুলি করে চলে যায়। এ
ঘটনায় আরো ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন। কাউন্সিলর অফিসে এ সময় ৫/৬ জন
স্থানীয় সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন।
কাউন্সিলর সোহেলের ভাগনে মোহাম্মদ
হানিফ জানান, সবাই আসরের নামাজ পড়ছিল। এ সময় প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শোনা
যায়। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি নিজে মামাকে
কাঁধে করে বের করি। পরে সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
নগরীর ১৭ নম্বর
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, নেতাকর্মীদের
নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে এসে কয়েকজন
সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায় তাদের দিকে। এ ঘটনায় ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
গণমাধ্যকে
তিনি বলেন, সুমন, শাহ আলমসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী গুলি করে কাউন্সিলর সোহেলের
ওপর এ হামলা চালিয়েছে। ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ সুজানগর পূর্বপাড়ার কয়েকটি বাড়ি
ভাঙচুর করেছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মোঃ
মহিউদ্দিন বলেন, কাউন্সিলর সোহেল এবং হরিপদ নামে ২জন রাত সোয়া ৮টায়
মৃত্যুবরণ করেন। তিনি বলেন, কাউন্সিলরের মাথায় এবং বুকে ৯টি গুলি লেগেছে।
প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হয়েছে। আমাদের হাসপাতালের ডাক্তারগণ অনেক চেষ্টা করেছেন।
কাউন্সিলরকে কিছুক্ষণ লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছিল।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর
সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থলকে সিআইডির ক্রাইম সিন হিসেবে
ঘিরে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু সিটি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে
ইতোমধ্যে হাতে পাওয়া সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে হামলাকারীদের সবাই
মুখোশ পরিহিত। তারপরও হামলকারীদের সনাক্তে আরও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।