Published : Wednesday, 24 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 24.11.2021 1:54:54 AM
তানভীর
দিপু: কুমিল্লায় ১৭নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ও তার সহযোগীতে প্রকাশ্যে গুলি
করে হত্যার ঘটনা তদন্ত করছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর একাধিক সংস্থা। ঘটনার পর পরই
পুলিশের পাশাপাশি র্যাবও নেমেছে ছায়া তদন্তে। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে
জব্দ করা সিসিটিভির ক্যামেরার ফুটেজ নিয়ে চলছে পর্যবেক্ষণ। জেলা পুলিশ
সুপার ফারুক আহমেদ জানান, মামলার আগেই ঘটনাটিকে সুচারু ভাবে তদন্ত করছে
পুলিশের একাধিক দল। তারা বিভিন্ন আলামত জব্দ করার পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ ও
তথ্যসংগ্রহের মাধ্যমে দ্রুত তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত আসামী শনাক্ত
করে গ্রেপ্তার করা হবে।
ডাবল মার্ডারের ঘটনাটি শুরু থেকেই ছায়া তদন্ত
করে যাচ্ছে র্যাব কুমিল্লার ক্রাইম প্রিভেনশন ইউনিট। খুনের ঘটনাটি নিয়ে
নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন র্যাব কুমিল্লার
অধিনায়ক মোহাম্মদ সাকিব হোসেন। তিনি জানান, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ
পর্যালোচনা করে জানা যাচ্ছে হামলায় অংশ নেয় ৬-৮ জনের একটি দল। তদন্ত চলছে,
আশা করা হচ্ছে খুব দ্রুতই আসামী গ্রেপ্তার সম্ভব হবে।
এদিকে,
কুমিল্লার ১৭ নং ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে গুলি করে জোড়া হত্যার ঘটনাস্থলের আধা
কিলোমিটারের মধ্যে একটি বাড়ি থেকে তিনটি ব্যাগে থাকা দুটি এলজি, একটি
পাইপগান, ১২ রাউন্ডগুলি, ২০টি হাতবোমা, একটি লোহার রড, দুটি কালো রংয়ের টি
শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বিকালে নগরীর ১৬ নং ওয়ার্ডের রহিম
ডাক্তারের বাসার গলির বেলাল আহম্মেদ এর টিনশেড বিল্ডিং তাজেহা লজ ও রাস্তার
পাশের সীমানা প্রাচীরের ফাঁকা জায়গা থেকে এসব আগ্নেয়াস্ত্র ও ব্যাগ-শার্ট
উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, ওই বাসা থেকে নিগার সুলতানা নামে এক নারী তার
বাসায় সন্দেহজনক অবস্থায় ব্যাগ পরে রয়েছে বলে জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল রে
জানায়। পরে কুমিল্লা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকারের
নেতৃত্বে একটি পুলিশের টীম গিয়ে অস্ত্র ও বোমাসহ ব্যাগ পাওয়া জায়গাটি
ক্রাইম সিন হিসেবে ঘেরাও করে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোহান সরকার জানান,
প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে গত সোমবার বিকালে সুজানগর এলাকায় কাউন্সিলর
সোহেল এবং তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যার ঘটনায় এসব অস্ত্র ব্যবহার করা
হয়েছে। তারপরও আরো পর্যবেক্ষণ করে দেখা হচ্ছে। ৯৯৯-্এ কল পেয়ে পুলিশ এসে
এসব আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। তিনি আরো জানান, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের
জায়গাটি অন্য আরেক ওয়ার্ডে হলেও তা খুনের ঘটনাস্থল থেকে আনুমানিক মাত্র আধা
কিলো মিটার দূরে। যেসব বোমা গুলো পাওয়া গেছে এগুলো পরীক্ষা ও নিস্ক্রিয়
করার জন্য বোম্ব ডিস্পোসাল টীমকাজ করছে।