কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে নগরের পাথরিয়াপাড়ার কার্যালয়ে ঢুকে গুলি করে হত্যার একদিন পর হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় এজহার নামীয় ১১ জন সহ মোট ২১ জনকে আসামী করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে নিহত সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজীম। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়ায় চিহ্নিত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীরা পূর্ব পরিকল্পিত তার ভাই কে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সন্ত্রাসীরা বহু মামলার আসামি।
সোমবার বিকেল সাড়ে চারটায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।এ সময় গুলিতে তাঁর সহযোগী হরিপদও নিহত হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার জানাযা শেষে তাঁর মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সৈয়দ মো. সোহেল (৫২) কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়রও ছিলেন। তাঁর বাড়ি নগরের সুজানগর এলাকায়। ২০১২ ও ২০১৭ সালে তিনি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় মেয়াদে তিনি প্যানেল মেয়র ছিলেন।
মো. সোহেল সুজানগর এলাকার শাহজাহান মিয়ার ছেলে। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তাঁর স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।