ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
কাউন্সিলর সোহেলের বাড়িতে পুলিশ সুপার
‘বেশ কয়েকজন আসামি শনাক্ত’
Published : Thursday, 25 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 25.11.2021 1:30:25 AM
 ‘বেশ কয়েকজন আসামি শনাক্ত’মামলা দায়েরের পর কুমিল্লার সুজানগরে কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেলের বাড়িতে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করতে যান কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ। গতকাল বেলা ১১টায় তিনি কাউন্সিলর সোহেলের বাসায় গিয়ে সমবেদনা জানান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে খুনের ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন। এসময় সদর সার্কেল পুলিশ সুপার সোহান সরকার, কুমিল্লা কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার উল আজিমসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ সুপার এসময় স্থানীয়দের সাথেও মত বিনিময় করেন। পরে সাংবাদিকদের বলেন, এই দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে কাউন্সিলরের পরিবারের অভিযোগ আমলে নিয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১১ জন এজাহার নামীয় আসামী এবং অজ্ঞাত আরো ১০জনসহ মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন। ইতিমধ্যে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামীদের গ্রেপ্তারে জোরালো চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আসামীদের বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে বলা যাচ্ছে না তারা কারা। গ্রেপ্তারের পর আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। আর কি কারণে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা তা আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদেই বেরিয়ে আসবে।
এছাড়া সংরাইশ এলাকা থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, সংরাইশে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের সাথে সুজানগরে জোড়াখুনের জোড়ালো সম্পর্ক রয়েছে। হামলাকারী গ্রুপটিই এই অস্ত্রগুলো ফেলে গেছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। কারন অনেকগুলো বিষয় আছে যেগুলো এই ঘটনিার সাথে মিলে যায়। সেখানে যে পোশাক পাওয়া গেছে তার সাথে হামলার ঘটনায় মিল পাওয়া গেছে। এই মামলার সাথে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের কি যোগসূত্র আছে তা জোরালো ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় আলাদা কোন মামলা হয়নিও বলে জানান তিনি।
আসামীরা যেন ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে এজন্য বিজিবিকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার। বিজিবিও এব্যাপারে সতর্ক আছে। তিনি আরো জানান, কাউন্সিলর সোহেল এবং হরিপদ সাহা দুই জন খুনের ঘটনায়ই একটি মামলা হয়েছে।
গত ২২ নভেম্বর সোমবার বিকালে কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মোঃ সোহেল ও সদস্য হরিপদ সাহাকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয় আরো ৪ জন। এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় সুজানগর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার চিহ্নিত মাদক  ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী শাহ আলমকে প্রধান আসামী করে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ২১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে নিহত কাউন্সিলরের ছোট ভাই সৈয়দ রুমন। গতকাল বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মামলার এজাহার নামীয় ৪ নম্বর আসামী সুমনকে আটক করে র‌্যাব। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় তাকে। ঘটনার পর থেকে ঘটনাটির ছায়া তদন্ত করছে র‌্যাব।