ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
গ্রেপ্তার মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন
Published : Saturday, 27 November, 2021 at 12:00 AM, Update: 27.11.2021 12:16:43 AM
গ্রেপ্তার মাসুমের সাত দিনের রিমান্ড আবেদননিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়ার ও ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যা মামলার ৯ নম্বর আসামি মাসুমকে শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তাঁর সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানার চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক কায়সার হামিদ আদালতের বিচারকের কাছে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানান। বিচারক শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেবেন বলে পুলিশ জানায়। পরে মাসুমকে (৩৯) কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার অপর আসামি সুমন পুলিশি পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল আজিম বলেন, আদালত রিমান্ডের আবেদন গ্রহণ করেছেন। শুনানির দিন ধার্য করা হবে। এরপর রিমান্ডের আদেশ পাওয়া যাবে। পরে মাসুমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে কাউন্সিলর সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহা হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমসহ এজাহারনামীয় ৯ ও অজ্ঞাতনামা ১০ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। মামলার বাদী কাউন্সিলর মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বলেন, এখনো মূল আসামি ও পরিকল্পনাকারীরা গ্রেপ্তার হননি। দ্রুত তাঁদের গ্রেপ্তার করতে হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২২ নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটায় কুমিল্লা নগরের পাথুরিয়াপাড়া থ্রিস্টার এন্টারপ্রাইজ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে কাউন্সিলর মো. সোহেল ও তাঁর সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ সময় আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টায় কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। র‌্যাব এই মামলার ৪ নম্বর আসামি সুজানগর বউবাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সুমনকে (৩২) গত বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এবং মামলার ৯ নম্বর আসামি কুমিল্লা নগরের সংরাইশ বেকারি গলি এলাকার মাসুমকে বৃহস্পতিবার কুমিল্লার চান্দিনা বাসস্ট্যান্ডের কাছে দেবীদ্বার সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করে। অন্য এজাহারনামীয় ৯ আসামি ও অজ্ঞাতনামা ১০ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে।
ওসি আনোয়ারুল আজিম বলেন, এখন পর্যন্ত এই মামলার দুই আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।