‘অন্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও কর্মী নিতে হবে’
Published : Friday, 11 February, 2022 at 12:00 AM
অন্য দেশে থেকে মালয়েশিয়াতে যেভাবে কর্মী নিয়োগ হয় বাংলাদেশ থেকেও একই প্রক্রিয়ায় কর্মী নিয়োগের দাবি জানিয়েছে জনশক্তি রফতানিকারকদের সংগঠন বায়রার সাবেক নেতারা। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বায়রার সাবেক সভাপতি আবুল বাশার।
আবুল বাশার বলেন, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীপরিষদ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী অভিবাসন খাতে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও প্রতারণা রোধে যে দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সেই দিক নির্দেশনাকে আমরা স্বাগত জানাই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসরণ করতে বদ্ধ পরিকর।
তিনি বলেন, শ্রম বাজার অনিয়ম, দুর্নীতি ও অতিরিক্ত অভিবাসন ব্যয়ের কারণে ২০৬ সালের মালয়েশিয়ান সরকার বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয়। দেশ বিদেশের বিভিন্ন মিডিয়াতে ব্যাপক প্রচারের কারণে নষ্ট হয় দেশের সুনাম। এবারও সম্ভাব্য ২৫ সিন্ডিকেটের সদস্যরা অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর আপ্রাণ চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এরই ধারাবাহিকতায় এবারেও সহযোগী বা সাব এজেন্ট হিসাবে প্রচার করা হচ্ছে একই মর্যাদার আরও আড়াইশটি রিক্রুটিং লাইসেন্সকে, যাতে করে কর্তৃপক্ষকে বাগে আনতে তাদের পক্ষে অনেকটা সহজ হয়। সিন্ডিকেটের সম্ভাব্য সদস্যরা তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সফল হলে বিদেশগামী নিরীহ কর্মী ও সিংহভাগ বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক এবারও তাদের লালসার শিকার হবেন বলে আমরা তীব্র আশঙ্কা করছি।
আবুল বাশার বলেন, এই সিন্ডিকেট বাস্তবায?িত হলে আগের মতো অনিয়ম, দুর্নীতি, অভিবাসন ব্যয় বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী প্রতি উপজেলায় ১০০০ কর্মীর বিদেশে কর্মসংস্থান বাস্তবায়ন হবে না। সরকার ও দেশের সুনাম ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বায়রার সাবেক সভাপতি নূর আলী, সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার, শামীম আহমেদ চৌধুরীসহ মালয়েশিয়ার কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির সংগঠনের নেতারা জুমে যুক্ত ছিলেন।