ই-পেপার ভিডিও ছবি বিজ্ঞাপন কুমিল্লার ইতিহাস ও ঐতিহ্য যোগাযোগ কুমিল্লার কাগজ পরিবার
জেলেদের অপহরণের অভিযোগে ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
Published : Thursday, 17 February, 2022 at 12:00 AM
জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে চট্টগ্রামে পাঁচ ‘জলদস্যুকে’ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।
নগরীর ইপিজেড থানার আকমল রোডের একটি ভবন থেকে গত মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তারের পর উদ্ধার করা হয়েছে ‘অপহৃত’ চার জেলেকে।
গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন- মো. কামাল (৩৫), মো. নুর নবী (২৬), মো. শামীম (২৪), মো. এ্যানি (৩১) ও মো. ফেরদৌস (৩৫)।
বুধবার র‌্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ চান্দগাঁও ক্যাম্পে সাংবাদিকদের জানান, চক্রটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরের দক্ষিণে ঠ্যাঙ্গার চর এলাকায় গভীর সাগরে ট্রলারসহ আট জেলেকে জিম্মি করে। জিম্মি করা ট্রলারের মাধ্যমে আরেকটি ট্রলার জিম্মি করে।
দুটি ট্রলার থেকে মোট ১২ জনকে জলদস্যুরা জিম্মি করেছিল জানিয়ে র‌্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, তাদের আটকে রেখে নির্যাতন চালানোর পাশাপাশি ট্রলার মালিক ও পরিবারের সদস্যদের টেলিফোনে আর্তনাদ শোনাতেন তারা। এদের মধ্যে তিন জনের কাছ থেকে মোট ৭৫ হাজার টাকা আদায় করে।
“মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পাওয়া এক মাঝি বিষয়টি কোস্ট গার্ডকে জানালে তারা নিজেরা অভিযান শুরুর পাশাপাশি র‌্যাবকেও অবহিত করে অভিযান করতে বলে।”
এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি র‌্যাব অভিযান শুরু করে জানিয়ে ইউসুফ বলেন, চক্রটিতে মোট আট জন ছিলেন। প্রথম দিন সাগরে একটি ট্রলারকে ধাওয়া করা হয়। কিন্তু সেটি নোয়াখালীর দিকে পালিয়ে যায়, সেখানে জলদস্যুদের তিন সদস্য ছিলেন। আরেকটি ট্রলার থেকে চার জনকে চোখ বেঁধে ভাটিয়ারিতে ফেলে যায় জলদস্যুরা।
র‌্যাব-৭ অধিনায়ক বলেন, অভিযানের অংশ হিসেবে এরপর নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের একটি বাসা থেকে পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র‌্যাব অধিনায়ক ইউসুফ জানান, গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে কামাল দলটির নেতা। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী অপহরণসহ বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রম পরিচালিত হতো। তিনি অপহৃতদের স্বজনদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন।
কামাল আগে জসীম বাহিনী নামে এক জলদস্যু গ্রুপের অধীনে ছিলেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জসীম নিহত হওয়ার পর আলাদা দল গঠন করে কামাল দস্যুতা শুরু করে। মাঝে হাতিয়া থানা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে সঠিক পথে ফিরে আসার কথা বললেও বছর খানেক ধরে পুনরায় দস্যুতা শুরু করে বলে জানান ওই র‌্যাব কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “কামালের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে কাজ করেন নুর নবী। সে বিভিন্ন স্থান থেকে অস্ত্র ভাড়া করে নিয়ে আসে দস্যুতায় ব্যবহার করার জন্য।
“এছাড়া শামীম ও অ্যানি অপহৃতদের নির্যাতন করে টাকা আদায়ের জন্য সেগুলো স্বজনদের টেলিফোনে শোনাতেন।”
আর ফেরদৌস অপহরণ করা ট্রলারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তাদের আস্তানার দিকে নিয়ে আসার কাজ করতেন বলে তিনি জানান।