‘অভিজ্ঞতায়ও প্রোটিয়াদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ’
Published : Thursday, 31 March, 2022 at 12:00 AM
দক্ষিণ
আফ্রিকা দলের টেস্ট অধিনায়ক ডিন এলগার, ওয়ানডে অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ টেস্ট
পারফরমার টেম্বা বাভুমা এবং স্পিনার কেশভ মাহারাজ ছাড়া বলতে গেলে এই
ফরম্যাটে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার নেই। বর্তমান দলে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশেরই
নামের পাশে ১০টি টেস্ট ম্যাচ খেলার যোগ্যতাও নেই।
অধিনায়ক ডিন এলগার
খেলেছেন ৭৪টি টেস্ট। স্পিনার কেশভ মাহারাজের টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৪০টি, আর
টেম্বা বাভুমা টেস্ট খেলেছেন ৪৯টি। বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্টের হাফ
সেঞ্চুরি পূরণ করবেন তিনি। কাগিসো রাবাদা, এইডেন মারক্রামদের অভিজ্ঞতা
থাকলেও তারা এই সিরিজে নেই। খেলতে চলে গেছেন আইপিএলে।
পক্ষান্তরে
বাংলাদেশ দলে অধিনায়ক মুমিনুল হক, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী
হাসান মিরাজ, লিটন দাস, তাইজুল ইসলামদের অভিজ্ঞতা বেশ সমৃদ্ধ। টেস্ট
ক্রিকেটে তারা নিজেরা পরীক্ষিত পারফরমার। বাকি যারা আছে, এদের মধ্যে
অনেকেরই ১০টির ওপর টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে, দু-একজন ছাড়া।
বাংলাদেশের
ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। ৭৮টি টেস্ট খেলেছেন
তিনি। তামিম খেলেছেন ৬৪টি, অধিনায়ক মুমিনুল হকের নামের পাশেও শোভা পাচ্ছে
৪৯ টেস্ট। বৃহস্পতিবার টস করতে নামলেই তিনি টেস্ট ক্রিকেটে পঞ্চাশে পা দিয়ে
ফেলবেন।
স্পিনার তাইজুল ইসলাম খেলেছেন ৩৫টি টেস্ট ম্যাচ। মেহেদী হাসান
মিরাজের নামের পাশে শোভা পাচ্ছে ৩১টি টেস্ট ম্যাচ। লিটন দাস খেলেছেন ২৯টি
টেস্ট। আবু জায়েদ রাহী, নাজমুল হোসেন শান্ত খেলেছেন ১৩টি করে টেস্ট, সাদমান
এবং এবাদত হোসেন খেলেছেন ১২টি করে টেস্ট।
সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতার আলোকে
দক্ষিণ আফ্রিকার চেয়ে এখন বাংলাদেশই সবচেয়ে এগিয়ে। কিন্তু মাঠের
পারফরম্যান্সে কে এগিয়ে থাকবে? বাংলাদেশ না স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাংলাদেশ
ক্রিকেট দলের আত্মবিশ্বাস এখন তুঙ্গে। বছরের শুরুতে নিউজিল্যান্ডের ঘরের
মাঠে তাদেরকেই (কিউইদের) হারিয়েছে মুমিনুল হকের দল। এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায়
এই সফরের শুরুতেই বাংলাদেশ পেয়েছে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের দেখা। ২-১ ব্যবধানে
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দিয়েছে। তারওপর, কেপটাউনে গ্যারি কারস্টেন
একাডেমিতে গত দু’তিন সপ্তাহ অনুশীলন করেছে টেস্ট স্কোয়াড।
এতকিছু একসাথে
করে যোগফল যেটা দাঁড়ায়, সেটা হলো বাংলাদেশ টেস্ট দলের ওপর প্রত্যাশার চাপ
বেড়ে গেছে বেশি। বাংলাদেশ টেস্ট সিরিজেও জিততে পারবে, এমন আশা-প্রত্যাশা
আগের চেয়ে অনেক বেশি সমর্থকদের।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক মুমিনুল হক টেস্ট
সিরিজ আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করে নিলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা বেশির
কথা। তবে, একই সঙ্গে স্মরণ করিয়ে দিলেন স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকাই এগিয়ে
থাকবে।
মুমিনুল বলেন, ‘অভিজ্ঞতায় একটু হয়তো এগিয়ে থাকব; কিন্তু সুবিধা ওরাও পাবে। যেমন ওরা ঘরের মাঠে খেলছে।’
সুবিধা-অসুবিধা
তো থাকবেই। কিন্তু ম্যাচ জিততে হলে কী করতে হবে সেটাই যেন বাতলে দিয়েছেন
মুমিনুল। তিনি বলেন, ‘তো দুই দলেরই কিছু কিছু সুবিধা থাকবে। কিন্তু বড়
জিনিস হলো ৫ দিন ১৫টা সেশন ভালো খেলা। ভালো জায়গায় বল করা, ভালো ব্যাটিং
করা। চাপের জিনিসগুলো ভালোভাবে মানিয়ে নেয়া, জেতা গুরুত্বপূর্ণ।’