Published : Friday, 30 September, 2022 at 12:00 AM, Update: 29.09.2022 11:57:48 PM
আলমগীর হোসেন, দাউদকান্দি ||
ঢাকা-চট্টগ্রাম
মহাসড়কের সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে চলমান
সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ। বুধবার
দিনভর যানজট ভোগান্তির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডের
সংস্কার কাজ সরজমিনে ঘুরে দেখেন কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ ( সওজ) বিভাগের
নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ
মহিনুল হাসান, কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল)
মোঃ ফয়েজ ইকবাল, দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জাহাঙ্গীর
আলম, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাকিবুল ইসলাম, গৌরীপুর
ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ নোমান মিয়া, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)
দাউদকান্দি উপজেলা শাখার সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন প্রমূখ।
এসময় কুমিল্লা
সড়ক ও জনপদ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, আমরা
সংস্কার কাজ দ্রুত গতিতেই করছি। যানবাহনের ধীরগতির কারনে যানজটে ভোগান্তি
হচ্ছে। আমরা যানজট প্রবন এলাকায় মাইকিং করছি। অলটারনেটিভ হিসেবে যেন
কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়ে হয়ে ঢাকা সড়ক ব্যবহার করার অনুরোধ করছি। তাছাড়া
আমরা সবাইকে বলবো ঢাকা যাওয়ার জন্য যেন সময় নিয়ে বের হয়। আমরা জনগণের জন্যই
কাজ করি। আমরা সবাইকে বলবো কাজ শেষ হওয়া পর্যন্ত একটু ধৈর্য ধরতে।
এর
আগে বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জ থেকে গৌরীপুর
এবং মেঘনা- গোমতী সেতুর টোলপ্লাজা থেকে কুমিল্লাগামী গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড
পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ কিলোমিটার যানজট স্থায়ী হয়। এতে করে যানবাহনের যাত্রী,
চালক ও জরুরী চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রওনা দেওয়া রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।
পরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংস্কারকাজ চলার কারণে তীব্র যানজট সৃষ্টি
হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করে সড়ক ও
জনপদ বিভাগ (সওজ)। মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে যানজটের ভোগান্তি
এড়াতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কসহ বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বেশি সময় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় সওজের পক্ষ
থেকে।
জানা গেছে, মহাসড়কের গৌরীপুর বাসষ্ট্যাণ্ডে সংস্কার কাজ ২৪ ঘণ্টা
চলমান থাকার কারণে মহাসড়কের ঢাকামুখী মাত্র একটি লেনে গাড়ি চলতে পারে। এতে
গাড়ির চাপ সৃষ্টি হলে ইলিয়টগঞ্জ এলাকা থেকে গৌরীপুর হয়ে দাউদকান্দি
টোলপ্লাজা পর্যন্ত যানজট লেগে যায়। এতে ভোগান্তি পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স,
যাত্রীবাহী বাস, মাইক্রোসহ সব ধরনের যানবাহনের চালক ও যাত্রীরা। পরে
সন্ধ্যার পর যানজট কমলেও যানবাহন চলাচলে ধীরগতি লেগেই থাকে।