শুক্রবার ৪ জুলাই ২০২৫
২০ আষাঢ় ১৪৩২
‘ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে ১০ কোটি টিকা’
প্রকাশ: সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম আপডেট: ২৭.০৯.২০২১ ১:১২ এএম |

‘ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়া হবে ১০ কোটি টিকা’আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে দেশে ফের অনুষ্ঠিত হবে গণটিকাদান কর্মসূচি। এ দিনের পরিকল্পনা ঘোষণা করতে গিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রায় ১০ কোটি টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভার্চুয়ালি এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
জাহিদ মালেক জানান, গণটিকাদান কর্মসূচির বিশেষ দিনে ৮০ লাখ টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে অধিকাংশ টিকা দেওয়া হবে সিনোফার্মের।
এর আগে গত ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত প্রথম ধাপে গণটিকা দেওয়া হয়। আর সেপ্টেম্বরে গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। এই দিনেই টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। আপাতত একদিনের জন্য ক্যাম্পেইন চলবে। ক্যাম্পেইনে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকাদান চলবে। প্রয়োজনে একাধিক শিফটে টিকা দেওয়া হবে।
এর পাশাপাশি নিয়মিত চলমান কর্মসূচিও চলবে বলে জানান জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, বর্তমানে নিয়মিত কর্মসূচিতেও প্রতিদিন ছয় লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ এই দিনে যারা গ্রামে থাকে, দরিদ্র জনগোষ্ঠী, বয়স্ক- তারা এই কার্যক্রমে টিকা নিতে পারবে। তবে এই কার্যক্রমে শুধু প্রথম ডোজের টিকার দেওয়া হবে। এদিন গর্ভবতী নারী ও দুগ্ধদানকারী মায়েরা টিকা পাবেন না। ইউনিয়ন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় ৬ হাজারের বেশি কেন্দ্রে টিকা কার্যক্রম চলবে।
দেশে এখন পর্যন্ত কত টিকা এসেছে সে পরিসংখ্যান তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, অনেক দিন ধরেই সরকার টিকা পাওয়ার চেষ্টা করে এসেছে। শুরুতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে টিকার জন্য চুক্তি হয়। কিছু টিকা সেখান থেকে পাওয়াও গেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তবে মাঝপথে সেটা বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর চীন থেকে সাত কোটি টিকার চুক্তি হয়েছে। কোভ্যাক্স সুবিধার আওতায় ফাইজারের টিকা আসা শুরু হয়েছে। সব মিলিয়ে টিকা নিয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছি জানিয়ে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ কোটি ডোজ টিকা হাতে পাওয়া গেছে। এরমধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪ কোটি ডোজ। আর হাতে রয়েছে দেড় কোটি ডোজ টিকা।
পরিকল্পনার বিস্তারিত জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অনেকেই টিকা নিতে নিবন্ধন করে অপেক্ষায় আছেন মাসের পর মাস; তারা টিকাদান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে টিকা নিতে পারবেন কিনা, এমন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যারা অনেক দিন আগে নিবন্ধন করেছেন কিন্তু টিকা পাননি এবং অপেক্ষায় আছেন, তাদের অবশ্যই আমরা অগ্রাধিকার দেবো। আপনারা জানেন, প্রথম দিকে নিবন্ধন একেবারে অনেক বেশি হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমাদের একটি জট তৈরি হয়েছিল। কোনও কোনও দিন ২০ থেকে ২৫ লাখ লোকের নিবন্ধনও হয়। এখন আমাদের হাতে পর্যাপ্ত টিকা আছে, আর জট থাকবে না।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের ১০ কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এটি একটি আনুমানিক হিসাব। এটি নির্ভর করছে টিকাপ্রাপ্তি সাপেক্ষে। ১০ কোটি দেওয়া না হলেও সর্বোচ্চ যত দেওয়া যায়, সে চেষ্টা করা হবে। আশা করছি, মাসে ২ কোটি ডোজ টিকা দিতে পারবো। নভেম্বর-ডিসেম্বরে এটি আরও বাড়বে। টিকা প্রাপ্তিই বড় বিষয়।
সরকার প্রতি মাসে দুই কোটি করে করোনার টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতি মাসে দুই কোটি টিকা দেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে; তার মধ্যে প্রায় এক কোটি ডোজ টিকা এই বিশেষ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেওয়া হবে। ডিসেম্বর পর্যন্ত আরও অনেক টিকা পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে দুই কোটির বেশি টিকা দেওয়াও সম্ভব হতে পারে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নভেম্বর-ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক টিকা পাবো, তখন আরও বেশি টিকা দেওয়া যাবে’।
সিনোফার্মের টিকা নিয়ে সৌদি আরবে যেতে বুস্টার ডোজ লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশে এখনও বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে জানতে চাইলে সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে টিকা কার্যক্রম চলছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশনা মেনে। ডব্লিউএইচও এখনও বুস্টার ডোজের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়নি। সৌদি আরবে যেতে বুস্টার ডোজ লাগলে ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। সে দেশে যাওয়ার বিষয়ে প্রবাসীদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা হবে।
‘যদি সে ধরনের পরিস্থিতির উদ্ভব হয় (যদি সৌদি আরবে যেতে বুস্টার ডোজ লাগে), সেক্ষেত্রে অবশ্যই আমরা বিষয়টি বিবেচনা করবো এবং ডব্লিউএইচওসহ যেখানে কথা বলা প্রয়োজন বলবো’—যোগ করেন তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের কর্মীরা যাতে কষ্ট না পান এবং তাদের সৌদি আরবে যাওয়ার যে শর্ত সেটি যেন তারা পূরণ করতে পারেন; সে বিষয়ে আমরা তাদের পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করবো।
করোনার টিকার নিবন্ধন ও সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম চলছে সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। টিকা দেওয়ার পরে সনদ পেতে অনেকেরই ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে এবং টিকা সনদে তথ্য বিভ্রাট থাকছে। তাই সুরক্ষা অ্যাপ ও ওয়েবসাইট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিচালনা করা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ-আলোচনা করেই আইসিটি বিভাগ অ্যাপ পরিচালনা করছে। সনদ পেতে দীর্ঘসূত্রতা ও তথ্য সংশোধনে ভোগান্তি কমাতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। তবে সুরক্ষা অ্যাপটি আইসিটি বিভাগই চালাবে।
















সর্বশেষ সংবাদ
চৌদ্দগ্রামে সুস্থ পাঠক সুস্থ সমাজ শীর্ষক হেলথ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
দেবীদ্বারে সড়ক দূর্ঘটনায় কলেজ ছাত্রের মৃত্যু
অভিশপ্ত সেই রাত ভুলে যেতে চান স্মিথ
পাশের হার-জিপিএ ৫ বেড়েছে কুমিল্লায়
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
জিপিএ-৫ এ কুমিল্লা বোর্ডের সেরা ২০ স্কুল
ব্রাহ্মণপাড়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কাউকে হয়রানী করলে ছাড় পাবেন না: এমপি বাহার
সপ্তম ধাপে দেবিদ্বার-বুড়িচংয়ে ইউপি নির্বাচন
পাশের হার-জিপিএ ৫ বেড়েছে কুমিল্লায়
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: newscomillarkagoj@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২