গত
আসরে রেকর্ড রান করে আলোচনায় ছিলেন এনামুল হক বিজয়। ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন
ক্রিকেট লিগে আজ মৌসুমের শুরুর ম্যাচেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন তিনি। তার
অসাধারণ সেঞ্চুরির দিনে মৌসুমের শুরুটা জয়ে রাঙিয়েছে তার দল আবাহনী
লিমিডেটও। ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ১২৪ রানের বিশাল ব্যবধানে তারা হারিয়েছে।
মিরপুর
শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস জিতে শুরুতে আবাহনীকে ব্যাটিংয়ে পাঠায়
ব্রাদার্স। তার পর ব্রাদার্সের বোলারদের শুরু থেকেই বিজয়-নাঈম শেখরা শাসন
করেছেন। তাদের আটকানোর উপায় জানা ছিল না ব্রাদার্স বোলারদের। বিশেষ করে
বিজয়ের সেঞ্চুরি, নাঈম শেখ ও আফিফ হোসেনের হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে ৬ উইকেটে
৩২৬ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় তারা।
দুই ওপেনার বিজয়-নাঈমের দারুণ
ব্যাটিং বড় স্কোরের ভিত গড়ে দিয়েছে। ওপেনিংয়ে তারা ১৫৭ রান যোগ করেছেন। ৭৪
বলে নাঈম ৮৫ রান করে ফিরলে ওপেনিং জুটি ভেঙেছে। তার ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও
১টি ছয়ের মার। মাহমুদুল হাসান জয় (২) দ্রুত ফিরলে ইনিংস সামাল দিয়েছেন
বিজয়-আফিফ।
সেঞ্চুরি পাওয়া বিজয় ১১৮ বলে ১২৩ রানে যখন ফেরেন, দলের
স্কোর ৩ উইকেটে ২৬৮। তার পর আফিফের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে স্কোরবোর্ড সমৃদ্ধ হয়েছে।
৪৭ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৬৫ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। শেষ দিকে স্কোর
বাড়াতে অবদান রাখেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন ও জাকের আলী অনিক। মোসাদ্দেক
ফেরার আগে ২৭ বলে ৬ ছক্কায় ও ১ চারে ৪৬ রান করেছেন। অনিক ১১ বলে ৩ ছক্কায়
অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে।
ব্রাদার্সের হয়ে ৭৫ রানে ৩টি উইকেট নিয়েছেন সাব্বির হোসেন। ৭১ রানে দুটি নিয়েছেন মানিক খান।
জবাবে
ব্রাদার্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান সেঞ্চুরির দেখা পেলেও বৃথা গেছে সেটি।
আবাহনীর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ২৪৮ রান করতে পারে তারা। মিজানুরের
সেঞ্চুরির পাশাপাশি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেছেন মাইশুকুর রহমান।
নিয়ন্ত্রিত
বোলিংয়ে অবদান ছিল তানভীর ইসলাম ও রাকিবুল হাসানের। তানভীর ১০ ওভারে ১টি
মেডেন দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছেন। বিনিময়ে দিয়েছেন মাত্র ২৭ রান। রাকিবুল
হাসান কোনও উইকেট না পেলেও ১০ ওভারে ২৭ রান ও দুটি মেডেন দিয়েছেন। তাছাড়া
রিপন মন্ডল ৬৩ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আফিফ হোসেন
ও আরপিত ভাসাভাদা।