কুমিল্লার
চান্দিনায় মোবাইল ফোনে বন্ধুকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে হত্যা চেষ্টা অভিযোগ
উঠেছে। আহত সজিবুল ইসলাম সাগর বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ চিকিৎসাধীন।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া ইউনিয়নের নাওতলা
গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সজিবুল ইসলাম (২৪) সাগর চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া
ইউনিয়নের নাওতলা গ্রামের মনু মিয়া মেম্বারের ছেলে। হত্যাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত
ওই গ্রামের ৬ জনের নাম জানায় সাগরের পরিবার। তবে তারা একে অপরের বন্ধু বলে
জানিয়েছে এলাকাবাসী।
সজিবুল ইসলাম সাগরের বাবা মনু মিয়া মেম্বার
জানান, বুধবার ভোর রাত ৪টার দিকে সাজ্জাদ হোসেন তার ছেলেকে মোবাইলে কল করে
ডেকে নিয়ে যান। এ সময় সাগর সামনে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। পরে
তারা জানতে পারেন, বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে নির্জন জঙ্গলে সাজ্জাদ সহ আরও
৪-৫জন মিলে সাগরকে এলোপাথারী ছুরিকাঘাত করে। এ সময় সাগর জীবন বাঁচাতে
রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তার দিকে ছুটে এসে স্থানীয় এক মাছ ব্যবসায়ীর সামনে
পরে। ওই মাছ ব্যবসায়ী তাকে উদ্ধার করে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য
কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হলে বর্তমানে আহত সজিবুল ইসলাম
ঢামেকে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শী মাছ ব্যবসায়ী সফিকুর রহমান জানান,
আমি ভোরে বাজারে যাওয়ার সময় হঠাৎ ওই ছেলেটি রক্তাক্ত অবস্থায় আমার সামনে
এসে পড়ে। তার পেটে ও শরীরের কয়েকটি ছুরিকাঘাত দেখে তার মা-বাবাকে জানাই এবং
তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।
তবে কী কারণে তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ঘটনার পর অভিযুক্তরা গাঁ ঢাকা দেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চেয়ে অভিযুক্ত সাজ্জাত হোসেন এর ব্যবহৃত ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়
বাসিন্দা জোৎ¯œা বেগম, ইব্রাহীম খলিল, বিল্লাল হোসেন সহ আরও ৪/৫জন ঘটনার
সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রক্তাক্ত অবস্থায় সাগর প্রাণ বাঁচাতে দৌড়ে
পালানোর সময় ওই মাছ ব্যবসায়ীর সামনে না পড়লে হয়তো তারা ছেলেটিকে মেরেই
ফেলতো। এ সময় তার প্রকৃত হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির
দাবী জানান।
এ ব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মো.
সাহাবুদ্দীন খাঁন জানান, ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা
ঘটেছে। এ ঘটনায় আহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি
সুষ্ঠু তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।