শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪
২ কার্তিক ১৪৩১
নষ্ট হচ্ছে হাজিরা যন্ত্র
প্রকাশ: সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১২:০২ এএম |

নষ্ট হচ্ছে হাজিরা যন্ত্র

সরকারি কেনাকাটায় এখনো প্রয়োজনের বিষয়টি সর্বস্তরে সঠিকভাবে বিবেচিত হচ্ছে না। কোনোভাবে যন্ত্রপাতি কিনতে পারলেই যেন সবার সব দায়িত্ব শেষ। সেই যন্ত্রের প্রয়োজন আছে কি না, যন্ত্র ব্যবহারে দক্ষতা আছে কি না, সর্বোপরি যন্ত্র ব্যবহারের উপযুক্ত পরিবেশ আছে কি না-এসব কোনোভাবেই বিবেচনা করা হয় না। পত্রিকান্তরে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একসঙ্গে বায়োমেট্রিক ডিজিটাল হাজিরা মেশিন কেনা হয় প্রায় চার বছর আগে।
তবে সেগুলোতে ডাটাবেইস সংযোগ এখন পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। এ কারণে স্থাপনের চার বছরে এক দিনও ব্যবহার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯টি বিদ্যালয়ে স্থাপনের পর প্রায় চার বছর পার হওয়ায় এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মেশিনগুলোর ওয়ারেন্টির মেয়াদও।
শুধু মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ১৯৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় নয়, এ ধরনের ঘটনা আরো ঘটেছে।
গত বছরের নভেম্বরে সহযোগী একটি দৈনিকে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার ১০৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কেনা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনগুলো প্যাকেটজাত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে সহযোগী একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, গাইবান্ধার প্রায় প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র এখন এমন। ২০১৯-২০ অর্থবছরে জেলার এক হাজার ২৯২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয় বায়োমেট্রিক হাজিরা যন্ত্র। তখন সচল যন্ত্রগুলোতেও ছিল না ইন্টারনেট সংযোগ।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সহযোগী আরেকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, কুমিল্লার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইসগুলোর বেশির ভাগই বিকল হয়ে আছে। কিছু মেশিন সচল থাকলেও সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।
দেখা যাচ্ছে, কেনাকাটায় সরকারের বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কথা ছিল, শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি অ্যাপের মাধ্যমে এসব হাজিরা মেশিন নিয়ন্ত্রণ করা হবে। সেই নির্দেশনার কত দূর।
অ্যাপ কি তৈরি করা হয়েছে? নির্দেশনার আগে কিংবা অ্যাপ তৈরির আগে কেন এসব ইলেকট্রনিক যন্ত্র কেনা হলো? মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষক নেতা ও কর্মকর্তাদের চাপে যন্ত্র কেনা হয়েছে। সব সময় দেখা যায়, কিছু কর্মকর্তা কেনাকাটার ব্যাপারে খুব আগ্রহী। কিন্তু কেনাকাটার নামে এই অপচয়, সেটি তো রাষ্ট্রেরই ক্ষতি। রাষ্ট্রের এ ধরনের আর্থিক ক্ষতি যাঁরা করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কি কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে?












সর্বশেষ সংবাদ
নতুন বইয়ের বর্ণিল নতুন বছর
নৌকায় ভোট নিতে ভাতার কার্ড আটকে রাখার অভিযোগ
শান্তির নোবেলজয়ী থেকে দণ্ডিত আসামি
শ্রমিক ঠকানোর দায়ে নোবেলজয়ী ইউনূসের ৬ মাসের সাজা
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ, কুমিল্লা অধ্যক্ষ পদে অধ্যাপক ডাঃ রুহিনী কুমার দাস এর দায়িত্ব গ্রহণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
গাড়ির ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত
বরুড়ায় শ্রমিকদল নেতাকে ছুরিকাঘাত
অর্ধেক দামে ফ্রিজ বিক্রি করছেন ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী
বাড়ির জন্য কেনা জমিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া একই পরিবারের ৪ জনের কবর
৫৫ কেজি সোনা চুরি, ফের রিমান্ডে দুই রাজস্ব কর্মকর্তা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২