চিকিৎসকের
ভুয়া নাম ও ফোন নাম্বার ব্যবহার করে পরিচালিত হচ্ছিলো ডায়গনস্টিক সেন্টার,
আবার সেখানে গিয়ে পাওয়া যায় নি কর্তব্যরত কোন চিকিৎসক। আলট্রাসনোগ্রাফি
রুমে গিয়ে পাওয়া গেছে লোহার রডসহ নানান নির্মান সামগ্রী। এক্স-রে মেশিন না
থাকলেও বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে এনে নিজেদের ভাউচারে বিল করে দেয়া হচ্ছিলো
গ্রাহকদের। কুমিল্লার স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এমন নানান অন্যায়
অনিয়ম ধরা পড়ছে স্বাস্থ্যবিভাগের অভিযানে।
বৃহষ্পতিবারের অভিযানে
বসুন্ধরা ডায়গনস্টিক ও কিউর ডায়গনস্টিক সেন্টার নামে দুইটি প্রতিষ্ঠানকে
সাড়ে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কিউর ডায়গনস্টিক সেন্টারকে সিলগালা
এবং বসুন্ধরা ডায়গনস্টিক সেন্টারকে সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
জেলা
স্বাস্থ্যবিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেদী হাসান জানান, নগরীর রেইসকোর্স
এলাকায় কিউর ডায়গনস্টিক সেন্টারকে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালা করা
হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির কোন লাইসেন্স পাওয়া যায় নি। কর্তব্যরত চিকিৎসক ছিলেন
না। এছাড়া ডায়গনস্টিক সেন্টারটির পরিবেশ অস্বাস্থ্য হওয়ায় তাদেরকে জরিমানা ও
সিলগালা করা হয়েছে। অপরদিকে নগরীর বাগিচাগাও এলাকায় বসুন্ধরা ডায়গনস্টিক
সেন্টারে গিয়ে দেখা যায় - ডাক্তারের ভুয়া নাম ও ফোন নম্বর ব্যবহার করে
প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছিলো। সেখানে গিয়ে কোন চিকিৎসক পাওয়া যায় নি। অন্য
প্রতিষ্ঠান থেকে এক্স-রে পরীক্ষা করিয়ে এনে নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে বিল
দেয়া হচ্ছিলো রোগীদের। এছাড়াও অন্যান্য আরো অনিয়ম প্রমানিত হওয়ায় তাদেরকে
দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
অভিযানে
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমদাদুল হক
তালুকদার প্রতিষ্ঠান দু’টিকে জরিমানা এবং বন্ধ করার নির্দেশ দেন।