দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল ঘোষণা
উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের এ তারিখ জানান প্রধান
নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। এবার প্রত্যেক আসন থেকে একজন
করে সদস্য নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন
(ইসি)।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইসি থেকে এ তথ্য জানা যায়। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম প্রজ্ঞাপনে সই করেন।
প্রজ্ঞাপনে
জানানো হয়, বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৫ এর অধীন সংসদ গঠন করার
লক্ষ্যে সংবিধানের ১২৩ অনুচ্ছেদের অধীন সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন
অনুষ্ঠান করা প্রয়োজন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ১১ এর দফা
(১) অনুসারে, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন, জাতীয় সংসদ গঠন করার উদ্দেশ্যে
প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকা থেকে একজন সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের আহ্বান
জানাচ্ছে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র
দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর,
মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ
তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
তফসিল
ঘোষণাকালে সিইসি জানান, সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং এবং ৫৯২ জন
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ
(আরপিও) অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের
প্রার্থীদের দলীয় মনোনয়ন প্রয়োজন হবে।
কেউ স্বতন্ত্র হিসেবে
নির্বাচন করতে চাইলে নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের
সইযুক্ত প্রত্যয়নপত্র লাগবে। অবশ্য কেউ অতীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জয়লাভ
করে থাকলে এ বাধ্যবাধকতা থাকবে না।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয়
নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান
অনুযায়ী, তার আগে ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে।