আসন্ন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের মাঠের নিরাপত্তায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৭
লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচনে সেনাবাহিনী
মোতায়েন করা হবে কি না সে বিষয়ে কমিশন পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।
সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি
জানান, নির্বাচনের মাঠে পুলিশ ও র্যাব থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন। এছাড়া
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৬ হাজার ৮৭৬ জন, আনসার ৫ লাখ ১৬ হাজার জন
ও কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। আর সেনাবাহিনীর
বিষয়ে কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে।
অশোক দেবনাথ বলেন, ‘নির্বাচনে যারা দায়িত্ব
পালন করবে সেসব বাহিনীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তাদের একটা সম্ভব্য
বাজেট নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রত্যেক সদস্য প্রতিদিন কত টাকা ভাতা পাবেন তা
উল্লেখ করে তারা (আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী) একটা বাজেট দেয়। তবে অর্থ
মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত একটি হার আছে। সে অনুযায়ী কতসংখ্যক সদস্য নিয়োগ করা
হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর পক্ষ
থেকে কিছু অগ্রিম বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আমরা কতটুকু
দিতে পারব, সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘র্যাঙ্ক অনুযায়ী দৈনিক একজন পুলিশ সদস্যের সর্বনি¤œ
ভাতা ৫৩৬ এবং সর্বোচ্চ ১২০০ টাকা। র্যাবের ক্ষেত্রেও পরিমাণটা একই।
‘এছাড়া
বিজিবি সদস্য সর্বনি¤œ ৪০০ ও সর্বোচ্চ ১২২৫, কোস্টগার্ড সর্বনি¤œ ৬৩৭ ও
সর্বোচ্চ ১৮০০ এবং আনসার সদস্য সর্বনি¤œ এক হাজার ও সর্বোচ্চ এক হাজার ৫০
টাকা ভাতা পাবেন।
কোন বাহিনী কতদিন ভোটের মাঠে দায়িত্বরত থাকবে- এমন
প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে পরিপত্র জারি হলে সে অনুযায়ী সিদ্ধান্ত হবে।
তারা যেভাবে দায়িত্ব পাবে সে অনুযায়ী বরাদ্দ হবে।’