জেলখানা
বা অন্য কোনো আইনগত হেফাজতে আটক থাকলেও ভোট দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে দেওয়া যাবে এ ভোট।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পরিচালক মো. শরিফুল আলমের সই
করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইসি জানায়, প্রতিনিধিত্ব আদেশ,
১৯৭২ এর ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যাদের নাম ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত, এমন
ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন।
পোস্টাল ব্যালট
হলো কেন্দ্রে গিয়ে শারীরিকভাবে সরাসরি ভোটদানে অসমর্থ, এমন ভোটাররা আগে
ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে তা ডাকযোগে প্রেরণ করে ভোট দেবেন।
যেভাবে ভোট দেওয়া যাবে পোস্টাল ব্যালটে:
ভোটার
তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে
একটি ব্যালট পেপারের জন্য আবেদন করবেন। তফসিল ঘোষণার তারিখ থেকে ১০ দিনের
মধ্যে এ আবেদন করতে হবে।
আবেদনে ভোটারের নাম, ঠিকানা এবং ভোটার তালিকায়
তার ক্রমিক নম্বর সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। রিটার্নিং অফিসার ভোটারের
আবেদন পাওয়ার পর, অনতিবিলম্বে উক্ত ভোটারের কাছে ডাকযোগে ব্যালট পেপার ও
খাম পাঠাবেন। যে খামের ওপর তারিখ প্রদর্শন করে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের
একটি ফরম থাকবে। যা ডাকে পাঠানোর সময় ডাকঘরের উপযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীর
মাধ্যমে পূরণ করা হবে।
ইসি জানায়, ব্যালট পেপার পাওয়ার পর, নির্ধারিত
পদ্ধতিতে ভোটারের ভোট রেকর্ড করে পেপারটি পাঠানো খামে ভরে ন্যূনতম বিলম্বের
মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের কাছে ডাকযোগে পাঠাতে হবে। এরপর প্রাপ্ত ব্যালটের
ফল মূল ফলাফলের সঙ্গে যোগ করে চূড়ান্ত ফল ঘোষণা করা হবে।
নির্বাচন
কমিশন জানায়, কোনো ব্যক্তি তিনি যে কেন্দ্রে ভোটদানের অধিকারী, সে কেন্দ্র
ছাড়া অন্য কোনো ভোট কেন্দ্রে নির্বাচন সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনের জন্য
নিযুক্ত থাকলে এবং বিদেশে বসবাসরত কোনো বাংলাদেশি ভোটার ভোট দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি।