প্রকাশ: রোববার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৪১ পিএম |
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে অর্ধবেলা আপিল বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ থাকবে। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত বিচারকাজ বন্ধ রাখা হবে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মইনুল হোসেন। জানা গেছে, ক্যান্সারে আক্রান্ত ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যা ৬টার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল জানান, আজ দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে ব্যারিস্টার মইনুলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক, দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠপুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। তিনি ১৯৪০ সালের জানুয়ারি মাসে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি স্কুলের শিক্ষা লাভ করেন পিরোজপুর, ঢাকা ও কলকাতায়। তিনি ১৯৬১ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে তিনি ব্যারিস্টার হিসেবে বার-এ যোগ দেন এবং একই বছর ডিসেম্বরে ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা শুরু করেন।
লন্ডন অবস্থানকালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের লন্ডনস্থ প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি কমনওয়েলথ প্রেস ইনস্টিটিউটেরও একজন সদস্য ছিলেন। ১৯৬৯ সালে পিতার মৃত্যুর পর ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।
১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে পিরোজপুর (বরিশাল) জেলার ভান্ডারিয়া-কাঠালিয়া নিয়ে গঠিত নির্বাচনি এলাকা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
তিনি ‘নিউ নেশন’ নামে একটি ইংরেজি দৈনিকের প্রকাশকও ছিলেন। ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। বাংলাদেশে প্রথম গঠিত প্রেস কমিশনেও তাকে সদস্য করা হয়েছিল।
তিনি ২০০০-২০০১ পর্ষদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতির দায়িত্বও পালন করেছেন।
২০০৭ সালে গঠিত ড. ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে গঠিত তত্ত্ববধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে তথ্য, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ভূমি মন্ত্রণালয় এর দায়িত্ব পালন করেন।