প্রার্থীদের আচরণবিধি মান্য এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের পেশাদার আচরণের নির্দেশনা দিয়ে কুমিল্লার রিটার্নিং কর্মকর্তা খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেছেন- যে কোন কিছুর বিনিময়ে কুমিল্লায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও সংশ্লিষ্টদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। কুমিল্লার ১১টি আসনে ৮৮ জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ শেষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আচরণবিধিমালা তুলে ধরেন জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মুনীর হোসাইন খান ও জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তুলে ধরেন জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান।
প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা আরো বলেন, আপনাদের কাছে আমাদের চাওয়া আপনারা শুধু বিধিমালা অনুযায়ী চলবেন। আমরা চাইনা কাউকে বিব্রত করতে। আমরা চাইনা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা কিংবা ম্যাজিষ্ট্রেটগণ আপনাদের কাছে গিয়ে আইন প্রয়োগ করুক। আপনারা সবাই শিক্ষিত এবং এটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নয়- আপনারা নিজেদের জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হবার উপযুক্ত বলে মনে করেছেন বিধায়ই এই নির্বাচনে প্রার্থী হতে এসেছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রতি পেশাদার আচরণের নির্দেশনা দিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব সকলকে প্রদর্শন করতে হবে। এর ব্যতিক্রম হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদি কেউ এর ব্যতিক্রম করে তবে তার ফলাফল তাকে ভোগ করতে হবে।
সকল প্রার্থী আমাদের কাছে সমান: পুলিশ সুপার
কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেছেন, আমরা সকল প্রার্থীর প্রতি সমান মনোভাব পোষণ করি। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে কোন ফৌজদারি অপরাধ ও আইনলঙ্ঘণ মেনে নেয়া হবে না। পুলিশের সকল পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া আছে নির্বাচন পর্যন্ত প্রত্যেকটা প্রার্থী আমাদের কাছে সমান। কাউকে আমরা বিশেষ ভাবে চিনি না, চিনবো না। এই নির্বাচনে জেলা পুলিশ শতভাগ আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্ব নিয়ে কাজ করবে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত যে পরিপত্র আছে – তা অনুযায়ী কাজ করবে। সকলের সহযোগিতা পেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা মডেল হতে পারে।