দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে টস জিতে ব্যাট করতে নামে
দুর্দান্ত ঢাকা। আর শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল তাসকিন আহমেদের দল। নাঈম শেখ ও
সাইফ হাসানের অর্ধশতকে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ঢাকা
সংগ্রহ করে ১৭৫।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কুমিল্লার ব্যাটার তাওহীদ হৃদয়ের অপরাজিত ১০৮ রানে ভর করে ১ বল বাকি থাকতে জয় পায় লিটন দাসের দল।
ঢাকার
দেওয়া বড় সংগ্রহের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য কুমিল্লার শুরুটা মোটেও
ভালো ছিল না। ব্যক্তিগত ৮ রান করে ঢাকার পেসার শরিফুল ইসলামের বলে লেগ
বিফোরের ফাঁদে পড়ে প্রথমেই ফিরে যান লিটন। এরপর রান আউটে কাটা পড়েন ইংলিশ
ক্রিকেটার উইল জ্যাকসও। পরে দলীয় ২৩ রানে কুমিল্লা শিবিরে আবারো আঘাত হানেন
শরিফুল। এবার ব্যক্তিগত ১ রানে ফিরিয়ে দেন ইমরুল কায়েসকে।
এরপর হৃদয়ের
সঙ্গে জুটি গড়ে তোলেন ব্রুক গেস্ট। তবে হৃদয় ছিলেন এদিন শুরু থেকেই
মারমুখী। শুরুটা হয়েছিল সাইফ হাসানের এক ওভারে তিন ছয় দিয়ে। ধীর গতিতে
খেলতে থাকা ব্রুক অবশ্য ফিরে যান ৩৫ বলে ৩৪ রান করে। তবে এক প্রান্ত আগলে
রেখে রীতিমতো ঢাকার বোলারদের শাসন করতে থাকেন হৃদয়। পরে ৫২ বলে তুলে নেন
সেঞ্চুরি।
এরপর রেমন রেফারও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। শেষ পর্যন্ত
জাকির আলি আউট হলেও হৃদয়ের ব্যাটে ম্যাচ জিতে নেয় কুমিল্লা। এর আগে নাঈম
শেখের ৬৪ ও সাইফ হাসানের ৫৭ রানের পর শেষ দিকে এলেক্সে রোসের ২২ রানে বড়
পুঁজি পায় ঢাকা। তবে টানা পরাজয়ের বৃত্ত থেকে বের হতেই পারছে না তাসকিনের
দল।