ছুটির
দিনে বাবার হাত ধরে বইমেলায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল যাত্রাবাড়ীর মাদ্রাসাছাত্র
মোয়াব্বিন ফারদিন; বিভিন্ন স্টল ঘুরে পছন্দের বই কেনার পাশাপাশি তুলছিল
ছবি। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুরের কিছু সময় বইমেলা ফারদিনের মত শিশুদের
জন্যই। মা-বাবা ও স্বজনদের সঙ্গে এ সময় মেলায় ভিড় করে শিশুরা, যাকে বলা হয়
শিশুপ্রহর।
মাসব্যাপী মেলায় শুক্র ও শনিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত
শিশুপ্রহর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে তার আগেই মেলায় আসে শিশুরা। এই প্রহরে
সিসিমপুরে মঞ্চে নাচানাচি, গান, চিত্রাঙ্কন ও আবৃত্তি প্রযোগিতায় মেতে ওঠে
তারা।
শুক্রবার ফারদিনের মত মায়ের সঙ্গে বইমেলায় এসেছিল ঢাকার
নবাবগঞ্জের মারিয়া এঞ্জেল গোমেজ। ষষ্ঠ শ্রেণির এ শিক্ষার্থী জানায়, বইমেলায়
এবারই তার প্রথম আসা।
অপরদিকে ফাওজিয়া অথৈ এসেছে আজিমপুর থেকে। মেলা
থেকে ছবি আঁকার বই কিনেছে সে। তার আগে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চিত্রাঙ্কন
প্রতিযোগিতায়ও অংশগ্রহণ করেছে।
শিশুপ্রহরের অন্যতম আকর্ষণ সিসিমপুর। সকালে এই মঞ্চে অর্ধশতাধিক শিশুকে লাফালাফি করতে দেখা যায়।
বইমেলায়
শিশুদের আনন্দকে রাঙিয়ে দিতে সপ্তাহের প্রতি শুক্র ও শনিবার সিসিমপুর
মঞ্চে থাকছে ইকরি, হালুম, টুকটুকি, শিকু, জুলিয়ার সঙ্গে আড্ডা। টিভি পর্দার
এই জনপ্রিয় চরিত্ররা শিশুদের সামনে এসে পুরো শিশুচত্বরের আনন্দকে বাড়িয়ে
দেয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে হয় শিশু-কিশোর
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। সকাল ১০টায় আবদুল করিম সাহিত্য বিশারদ মিলনায়তনে
শিশু-কিশোর আবৃত্তি প্রতিযোগিতার প্রাথমিক নির্বাচন হয়।
মেলার পরিচালনা
কমিটি জানায়, অমর একুশে বইমেলার উদযাপনের অংশ হিসেবে এই সাংস্কৃতিক
প্রতিযোগিতা হচ্ছে। বিভিন্ন পর্বে এ প্রতিযোগিতা চলবে ২১শে ফেব্রুয়ারি
পর্যন্ত।
সকালে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পর মেলার শিশুচত্বরে
আসে মাইলস্টোন স্কুলের শিক্ষার্থী ঝুমুর ও তার ভাই আশিক। মেলায় এসে খুব
ভালো লেগেছে বলে জানায় তারা।
শুক্রবার ছিল বইমেলার নবম দিন। মেলা চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকাল ৪টায় মূল মঞ্চে রয়েছে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।