কুমিল্লার বরুড়ায় নানা অনিয়মের অভিযোগে তিনটি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জানা
যায়, নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরুড়া
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল ও
ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এসময় লাইসেন্স না থাকাসহ নানা
অনিয়মের অভিযোগে বরুড়া মৌলভীবাজার এলাকায় অবস্থিত ‘বরুড়া ডায়াবেটিস
এসোসিয়েশন’, বরুড়া হাসপাতাল সড়ক এলাকায় অবস্থিত ‘মেডিকেয়ার জেনারেল
হাসপাতাল’ ও ‘রয়েল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার’ এর কার্যক্রম বন্ধ
ঘোষণা করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার
পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: কামরুল হাসান সোহেল। এসময় মেডিকেল অফিসার ডা:
সিফাত সালেহ এবং স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো: শফিকুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত
পরিদর্শন টিমের সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা:
কামরুল হাসান সোহেল জানান, বন্ধ করে দেওয়া তিনটি হাসপাতালে ব্যাপক অনিয়মের
প্রমাণ পাওয়া গেছে। পরিদর্শনে এসে লক্ষ্য করা গেছে, প্রদর্শিত মুল্য
অপেক্ষা অধিক মূল্যে ল্যাবে পরীক্ষা করানো, রসীদে অতিরিক্ত মূল্য লিখে
২০/৩০ শতাংশ ছাড়ে টেস্ট করে দেয়ার নামে প্রতারণা, ল্যাবে যথাযথ ফ্রিজ না
থাকা ও সঠিক তাপমাত্রায় রিএজেন্ট সংরক্ষণ না করা, অপরিচ্ছন্ন ল্যাব,
মেডিকেল টেকনোলজিস্টের (রেডিওগ্রাফার) অনুপস্থিতি স্বত্তেও এক্সরে করানোসহ
নানা অনিয়ম। ফলে এ প্রতিষ্ঠানগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি
বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রীর মহোদয়ের নির্দেশনায় উপজেলার সাধারণ মানুষের
নিরাপদ স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে উপজেলায় অবস্থানরত হাসপাতাল ও
ডায়াগনস্টিক সেন্টার সরকারি বিধি মেনে সকল কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। সেই
লক্ষে আমরা কাজ করছি। আমাদের এই পরিদর্শন নিয়মিত চলমান থাকবে।