এক ম্যাচ আগেই দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে বিপিএলে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন তাওহীদ হৃদয়। আজও সেই পথেই ছিলেন। তিনি চাইলে আফসোস করতেই পারেন, খুলনা টাইগার্সের স্কোরবোর্ডে আরও কিছু রান থাকলে হয়তো তিন ম্যাচে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি করে ফেলতেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের এই ক্রিকেটার। তার ৯১ রানের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে কুমিল্লা ৭ উইকেটের দারুণ জয় পেয়েছে। ম্যাচসেরার পুরস্কারও জিতেছেন হৃদয়।
শুরুতে টানা চার ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠেছিল খুলনা। তরুণদের নিয়ে গড়া দলটিকে নিয়ে বড় কিছুর প্রত্যাশা করা হচ্ছিল। কিন্তু টানা চার জয়ের পর টানা পাঁচ হারে ভক্তদের স্বপ্ন মাটি করে দিয়েছে এনামুল হক বিজয়রা। বুধবার কুমিল্লার বিপক্ষে আরও একটি ম্যাচ হেরে প্লে-অফ খেলার সম্ভাবনাই ক্ষীণ হয়ে গেছে খুলনার। এদিন আগে ব্যাটিং করে তারা ১৬৫ রানের লক্ষ্য দেয় কুমিল্লাকে। হৃদয়ের বিস্ফোরক ইনিংসে এই লক্ষ্য মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ২১ বল আগে ছুঁয়ে ফেলে চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক বিজয়। টপ অর্ডারের সবাই ভালো শুরু পেলেও কেউই ইনিংসটাকে বড় করতে পারেননি। এই কারণে ভালো ব্যাটিং উইকেটেও বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে পারেনি খুলনা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তারা করে ১৬৪ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন এভিন লুইস। ২০ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় নিজের ইনিংসটিকে সাজান ক্যারিবিয়ান এই ব্যাটার।
এছাড়া আফিফ হোসেন ২৯, মাহমুদুল হাসান জয় ২৮, অ্যালেক্স হেলস ২২, ওয়েন পার্নেল ২০ ও বিজয়ের ব্যাট থেকে আসে ১৮ রান। কুমিল্লার বোলারদের মধ্যে মঈন আলী ও ম্যাথু ফোর্ড দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলিস আল ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।
খুলনার দেওয়া ১৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই লিটন দাস পয়েন্টে ক্যাচ দেন। উইল জ্যাকসও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ১০ বলে ১৮ রান করে আউট হন ইংলিশ এই ব্যাটার। এরপর আজই দলের সাথে যোগ দিয়ে ম্যাচ খেলতে নামা জনসন চার্লসও ১৩ রানের বেশি করতে পারেননি। ততক্ষণে অবশ্য হৃদয় ক্রিজে নেমে ঝড় তুলেছেন। ৮৪ রানে তিন উইকেট হারানো কুমিল্লা বাকি পথটা সহজে পেরিয়ে যায়।
হৃদয় ও জাকের আলী ৫৪ বলে অবিচ্ছিন্ন ৮৪ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন। হৃদয় আফসোস করতেই পারেন বিপিএল তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা মিস হয়ে গেলো! ৪৭ বলে ৭ চার ও ৭ ছক্কায় ৯১ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। জাকের ৩১ বলে খেলেন ৪০ রানের ইনিংস।
খুলনার বোলারদের মধ্যে মুকিদুল ইসলাম, নাহিদ রানা ও পার্নেল একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট কুমিল্লার। তার ছুঁয়ে ফেলেছে শীর্ষ দল রংপুর রাইডার্সকে। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে লিটনের দল। আর আগের ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে খুলনা।