ঢাকার
কমলাপুরে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গেস্টহাউজ অবিলম্বে
উপাচার্যের ব্যক্তিগত 'দখলদারিত্ব' থেকে মুক্ত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্বের
নীতিমালা অনুযায়ী পর্যাপ্ত লোকবল ও সুযোগসুবিধাসহ শিক্ষক- কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের ব্যবহার উপযোগী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়
রেজিস্ট্রার বরাবর একটি চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্বাচিত শিক্ষক
সমিতি।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) কুবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক
ড. মোঃ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরিত এবং
রেজিস্ট্রার দপ্তরের সিল সম্বলিত একটি চিঠিতে এটি জানা যায়।
চিঠিতে
শিক্ষক সমিতির নির্বাচনী ইশতেহারের ০৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের
বৃহত্তর স্বার্থে চলতি বছরের পহেলা মার্চ এর মধ্যে গেস্টহাউজকে উপাচার্যের
অবৈধ দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত করে ব্যবহার উপযোগী করার জন্য অনুরোধ জানান
তারা।
চিঠিতে কুবি শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বলেন, গত দুই বছর শিক্ষক
সমিতির কার্যক্রম না থাকার সুযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ
এফ এম আবদুল মঈন তার নিজস্ব ক্ষমতা কুক্ষিগত করার লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষক-
কর্মকর্তা- কর্মচারীর আবাসন এবং জরুরী প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
ক্রয়কৃত গেস্টহাউজ ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করে আসছেন। এ সময় পর্বে বিভিন্ন
বিভাগে কর্মরত শিক্ষক- কর্মকর্তা -কর্মচারীগণ প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনে বা
ব্যক্তিগত কারণে গেস্টহাউজ ব্যবহার করতে চাইলে তিনি তাদের সাথে বিভিন্ন
ধরনের দুর্ব্যাবহার করেন।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গেস্টহাউজ
তত্ত্বাবধানের জন্য নিয়োজিত কর্মচারীকেও ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ থেকে কুমিল্লা
বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যাহার করে উপাচার্য নিজে গেস্টহাউজের চাবী হস্তগত করে
এটিকে ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করেছেন। উপরন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট নয়,
এমন ব্যক্তিদের ঢাকাস্থ গেস্ট হাউজে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে বসবাস করার অনুমতি
দেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক
ড. মো. আলী আশরাফের সময়ে ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে রাজধানীর কমলাপুরে একটি
গেস্ট হাউজ ক্রয় করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের
উপাচার্য, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়। ব্যবস্থা ছিল
জরুরি সভার আয়োজনেরও। তবে বর্তমানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আব্দুল মঈন
ব্যতীত কেউই যেতে পারেন না সেখানে। চাবিও রয়েছে তার নিজের নিয়ন্ত্রণে।