চিকিৎসকের হাতে কোনো রোগী ভুল চিকিৎসার শিকার হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, “চিকিৎসা সেবা পেতে মানুষের যেন কোনো বিড়ম্বনার শিকার হতে না হয়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।”
সোমবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুর কুমুদীনি কমপ্লেক্স পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকরা
গ্রামে থেকে চিকিৎসা সেবা না দেওয়ার বিষয়ে মন্ত্রী বলেনে, গ্রামে
চিকিৎসকদের পর্যাপ্ত সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়ে তিনি কাজ করছেন।
চিকিৎসা সেবা
সারা দেশের গ্রামগঞ্জে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছেন দাবি করে সামন্ত
লাল সেন বলেন, “আমি যদি প্রতিটি হেলথ কমপ্লেক্স ও জেলার হাসপাতালগুলো
সাবলম্বী করে গড়ে তুলতে পারি তাহলে গ্রামগঞ্জের কোনো রোগী চিকিৎসা নিতে
ঢাকা বা চিটাগাং শহরে ভিড় করবে না।”
মন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্য খাতকে দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন।
সাংবাদিকদের
সামনে কথা বলার সময় টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন মো. মিনহাজ উদ্দিনসহ কুমুদিনী
কমপ্লেক্সের কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন।
শাস্তি পেতে যাচ্ছেন ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’
নামকরণের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা
সমালোচনার
মুখে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা বিচ ‘বঙ্গবন্ধু বিচ’ এবং কলাতলী ও
সুগন্ধা বিচের মাঝখানের এলাকাকে ‘মুক্তিযোদ্ধা বিচ’ নামকরণের নির্দেশনা
বাতিল করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে নামকরণের প্রস্তাবের
সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘বিচের নাম
পরিবর্তনের নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। এ ধরনের কোনও সিদ্ধান্ত-ই হয়নি।
সেইসঙ্গে ঘটনায় জড়িত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত
চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
রবিবার (২৫
ফেব্রুয়ারি) মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মো. সাহেব উদ্দিন
স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করা হয়। এর আগে গত ১৯
ফেব্রুয়ারি তারই স্বাক্ষরে নাম পরিবর্তনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
সেইসঙ্গে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো চিঠিতে দুই সৈকতের নাম
পরিবর্তনের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ
মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান
মিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক
মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৩তম সভায় বিচ দুটির নামকরণের
সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে চিঠিতে জানানো হয়েছিল।
সুগন্ধা বিচকে
বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনার বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার
ঝড় ওঠে। জাতির পিতার সম্মানে ক্ষুদ্র এই পয়েন্টের নামকরণ নিয়ে দেশজুড়ে
সমালোচনার জন্ম নেয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, পূর্বে পাঠানো (১৯
ফেব্রুয়ারি) নির্দেশনার ওপর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য
নির্দেশনাক্রমে অনুরোধ করা হলো। একইসঙ্গে পূর্বে পাঠানো পত্রটি বাতিল হলো।
এ
বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন,
‘বঙ্গবন্ধু বিচ নামকরণের নির্দেশনা বাতিল করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়ে
বিষয়টি জানিয়েছে।’
কোন সিদ্ধান্তের আলোকে আপনারা নতুন নামকরণের
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এমন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের
চিঠিতে জানানো হয়েছিল, সংসদীয় কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সুগন্ধা বিচের নাম
বঙ্গবন্ধু বিচ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছিল। ওই চিঠির আলোকে আমরা ব্যবস্থা
নিয়েছিলাম। পরে মন্ত্রণালয়ের আরেক চিঠিতে এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত হওয়ায় আমরা
সেখান থেকে সরে এসেছি।’