বুধবার ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
২৩ মাঘ ১৪৩১
মধুর ক্যান্টিনের মধুদাকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি
প্রকাশ: রোববার, ২৪ মার্চ, ২০২৪, ৭:৪১ পিএম |

মধুর ক্যান্টিনের মধুদাকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতিপেশাগত পরিচয়ের বাইরে গিয়ে ব্যতিক্রমভাবে দেওয়া হলো বুদ্ধিজীবীর মর্যাদা। তিনি সবার পরিচিত মধুর ক্যান্টিনের ‘মধুদা’। যিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একজন চা দোকানি, কিন্তু স্বাধিকার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ভূমিকায় তার প্রভাব ছিল।

রবিবার (২৪ মার্চ) আরও ১১৮ শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে চতুর্থ ধাপে ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকা প্রকাশ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করার ক্ষেত্রে আমরা দু-এক জায়গায় ব্যতিক্রম করেছি। যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুদা। ইনি শিক্ষক, লেখক কিংবা গবেষক না, শিল্পীও না। উনি এমন একজন ব্যক্তি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই ওনাকে চেনেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক দেশের স্বাধীনতা সংক্রান্ত যত আন্দোলন হয়েছে, সেখানে উনার একটা অনন্য ভূমিকা ছিল।

মধুর ক্যান্টিনের মধুদাকে শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতিতিনি বলেন, এ রকম কিছু ব্যক্তি বিশেষ বিবেচনায় গেছে (তালিকায় অন্তর্ভুক্ত)। উনি (মধুদা) সাধারণ একজন চায়ের দোকানদার। তিনি আবার বুদ্ধিজীবী হয় কী করে! কিন্তু উনার যে অবদান, ২৩ বছরে যত নেতাকর্মী দেশের নেতৃত্ব দিয়েছেন, উনি তাদের সহযোগিতা করেছেন। বিনা পয়সায় চা খাইয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, তালিকা করার ক্ষেত্রে আমরা আর ব্যতিক্রম করিনি। একটাই করেছি, মধুদারটা।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাক্ষরিত তার একটা সনদও আছে, যেখানে বঙ্গবন্ধু তাকে (মধুদা) বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

তালিকায় মধুসূধন দে বা মধুদার বাবার নাম লেখা হয়েছে আদিত্ত্ব চন্দ্র দে, মায়ের নাম লেখা হয়েছে যোগমায়া দে। গ্রাম বা মহল্লা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, থানা-রমনা, জেলা-ঢাকা। মধুদার সেই রেস্তোরাঁ এখনও সবার কাছে ‘মধুর ক্যান্টিন’ নামে পরিচিত।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার আগে প্রায় সব ছাত্রনেতাই মধুর ক্যান্টিনে বসে রাজনৈতিক কাজকর্ম চালাতেন। বাংলাদেশ স্বা
ধীন হওয়ার আগে পাকিস্তান-পর্বে তার রেস্তোরায়ঁ অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা হয়েছে। এ কারণে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর শত্রুতে পরিণত হন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে জগন্নাথ হল থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং সেই রাতেই হত্যা করে।












সর্বশেষ সংবাদ
অর্ধলক্ষাধিক বইয়ের সমাহার কুমিল্লার গণগ্রন্থাগারে
চৌদ্দগ্রামে যুবককে পিটিয়ে হত্যা
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের ফোন নাম্বার হ্যাক
জামায়াত নেতা মাহবুবর রহমানের মায়ের ইন্তেকাল
ব্রাহ্মণপাড়ায় বিজিবি অভিযানে গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় কুমিল্লার এক যুবক নিহত
কুমিল্লায় একদিনে তিন লাশ উদ্ধার
যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলাম স্মরণে শোক সভা
কাউকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ দেওয়া যাবে না
চান্দিনায় ফসলী জমি থেকে অবাধে মাটি কাটার ভেকুর মালামাল জব্দ
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২