কুমিল্লার দাউদকান্দিতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মাছ নিধন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় মৎস্য চাষী রফিক গাজী বাদী হয়ে একই এলাকার অপর মৎস্য চাষী মো. মহসিন গাজী কে অভিযুক্ত করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
গত ২ মার্চ (শনিবার) দিনগত রাতে উপজেলার চারিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী মৎস্য চাষী রফিক গাজী গত ৪ মার্চ কুমিল্লার বিজ্ঞ আদালতে এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলার একমাত্র অভিযুক্ত একই গ্রামের রেনু গাজীর ছেলে।
জানা যায়, রফিক গাজী ও মহসিন গাজী উভয়ই দীর্ঘদি যাবৎ চারিপাড়া গ্রামে মৎস্য চাষের ব্যবসা করে আসছেন। মৎস্য চাষাবাদের সূত্র ধরে দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছিল।
রফিক জানান, আমি সহ এমরান ও মালেক আমরা তিনজন শেয়ারী মাছ চাষের ব্যবসা করে আসছি। মহসিন গাজী প্রতি ক্ষেত্রেই আমাদের ব্যবসায় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। আমরা কোন একটি প্রজেক্ট নিতে চাইলে সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রতিযোগিতা মনোভাবে আমাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। আমরা যেন মৎস্য চাষের ব্যবসা করতে না পারি সেজন্য আমাদের উপর একের পর এক হামলা চালায়। তার সন্ত্রাসী বাহিনীর আঘাতে আমাদের কয়েকজন হাসপাতালেও চিকিৎসাধীন ছিল। ঘটনার দিন রাতে মহসিন গাজীকে আমাদের মৎস্য প্রজেক্টের পাড়ে ঘুরাঘুরি করতেও দেখি। পরদিন ভোরবেলা দেখতে পাই আমাদের পুকুরের সব মাছ মরে ভেসে আছে। তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করি এবং এলাকার শতশত লোকজন এসে ঘটনা দেখে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহসিন গাজী জানান, আমি যেহেতু মাছ চাষের ব্যবসা করি সেহেতু এমন ঘৃনিত কাজ করার প্রশ্নই আসেনা। প্রকৃতপক্ষ একটি প্রজেক্ট লিজ নেয়াকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। আমি বেশি দামে ওই প্রজেক্ট লিজ নেওয়ায় তারা আমার উপর এমন মিথ্যা অভিযোগ দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গৌরীপুর ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এস.আই) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, পুকুরে বিষ প্রয়োগের ঘটনা সত্য। তবে মহসিন গাজী যে বিষ প্রয়োগ করেছে এখন পর্যন্ত এমন কোন সুনির্দিষ্ট স্বাক্ষী উপস্থাপন করতে পারেনি বাদী পক্ষ। তবে আমাদের তদন্ত চলছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানানো যাবে।