কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ধান্যদৌল গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যু হাবিব খান
চৌধুরীর সম্পত্তি রক্ষায় গতকাল (২৭ মার্চ) বুধবার স্থানীয় প্রেস ক্লাবে
সংবাদ সম্মেলনে করেন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মোসাম্মৎ মমতাজ বেগম। সংবাদ
সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমারস্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিব খান
চৌধুরী মারা যাওয়ার পর আমি তিন ছেলে দুই মেয়ে নিয়ে একা হয়ে পড়ি। এরপর
কর্মের তাগিদে আমার ছেলেরা বাড়িতে না থাকার সুবাদে এলাকার কিছু চিহ্নিত
সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু তাদের স্বার্থ হাসিল করার লক্ষ্যে আমার জায়গার মধ্যে
তাদের নজর পড়ে। তারা আমাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তি দখল, হুমকি-ধুমকি, মিথ্যা
মামলাসহ আমাদেরকে নানাভাবে হয়রানি করছেন। তার একই এলাকার ফিরুজ খান চৌধুরী ও
সাবেক মেম্বার ইসলাম খান চৌধুরী তাদের দুই মাদকাসক্ত ছেলে এনামুল খান
চৌধুরী ও মনির খান চৌধুরী আমার সম্পত্তির রক্ষায় এ নিয়ে আমি এলাকার
মেম্বার, চেয়ারম্যান সাহেব সরদারের কাছে গেলেও তারা কারো কথা না শুনে
আমাদের ওপর অত্যাচার আরও বাড়িয়ে দেয়। এ নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসন
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সহ কুমিল্লা বিজ্ঞ আদালতে ভূমি দস্যুতের বিরুদ্ধে একটি
মামলা দায়ের করি। বর্তমানে মামলাটির চলমান রয়েছে।
এ সময় মুক্তিযোদ্ধার
স্ত্রী আরো উল্লেখ করে বলেন, আমার স্বামী ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে এ দেশকে
স্বাধীন করেছিলেন কিন্তু তিনি জানতেন না তার ছেলে সন্তান এবং স্ত্রী
এলাকার একদল মাদকাসক্ত ভূমি দস্য সন্ত্রাসীর হাতে জিম্মি অবস্থায় রয়েছেন।
এবং আমার সন্তানেরা বিভিন্ন কর্মের সুবাধে বাড়িতে থাকেনা। এরই সুযোগ নিয়ে
তারা বিভিন্ন সময় জোর জবরদস্তি করে তাদের পৈত্রিক ও ক্রয়কৃত জায়গার দখল ও
বাড়ির মধ্যদিয়ে রাস্তা করার চেষ্টা করে। এ নিয়ে আমি বাধা দিলে ভূমিদস্যুরা
মুক্তিযোদ্ধ অসহায় পরিবারের উপর অমানবিক নির্যাতন করে এবং হুমকিদামকিসহ
মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানি করে।
এছাড়া গত ৪ মার্চ কুমিল্লা ফৌজদারিতে
নিজ ভূমির মালিকানা রক্ষার দাবিতে মুক্তিযোদ্ধার বড় সন্তান মামুন খান
চৌধুরী বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণপাড়া
থানা থেকে তদন্ত পাঠালে ভূমি দস্যু ফিরোজ খান চৌধুরী, এনামুল খান চৌধুরীসহ
অন্যরা কোনো প্রকার কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।
এমতাবস্থায় মুক্তিযোদ্ধার
স্ত্রী মোসাম্মৎ মমতাজ বেগম, স্থানীয় প্রশাসন, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ
ও গণমান্য ব্যাক্তি কে সরজমিন তদন্ত করে মুক্তিযোদ্ধা অসহায় পরিবারটিকে
ভূমি দস্যুদের ও তাদের সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা করার আবেদন জানান।