বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যে বিদেশ
ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে ওই প্রজ্ঞাপনে।
আইন মন্ত্রণালয়ের
মতামত ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সংক্রান্ত নথি অনুমোদনের পর গত ২১
মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এ প্রজ্ঞাপন জারি করা
হয়। এ নিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে অষ্টমবারের মতো তার মুক্তির মেয়াদ
বাড়ানো হলো।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়ার মুক্তির
বিষয়ে দাখিলকৃত আবেদন এবং আইন ও বিচার বিভাগের আইনগত মতামতের আলোকে ‘দ্য
কোড অব ক্রিমিন্যাল প্রসিডিউর’ এর ধারা-৪০১(১) এ দেওয়া ক্ষমতাবলে দুটি
শর্তে (ঢাকাস্থ নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা ও দেশের বাইরে যেতে পারবেন না) তার
(খালেদা জিয়ার) দ-াদেশ ২৫ মার্চ থেকে ৬ মাসের জন্য স্থগিত করা হলো।
খালেদা
জিয়ার স্থায়ী মুক্তি ও চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাতে তার ছোট ভাই শামীম
ইস্কান্দার গত ৬ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। পরে সেই আবেদনের
বিষয়ে মতামত নিতে সেটি আইন মন্ত্রণালয় পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় আগের
দুটি শর্তে খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত
দেয়।
সর্বশেষ গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে খালেদা জিয়ার দ- স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ ছয় মাস বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ ২৫ মার্চ শেষ হয়।
খালেদা
জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার, ফুসফুস, চোখের
সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। অসুস্থতা বাড়লে মাঝে মাঝে তাকে
হাপাতালে নিতে হচ্ছে।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দেন আদালত।
সেই থেকে প্রায় দুই বছর জেলে ছিলেন তিনি। পরে মহামারী করোনা ভাইরাসের
প্রকোপ বৃদ্ধি পেলে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার
দ- স্থগিত করে দুটি শর্তে সরকারের নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দেওয়া
হয়েছিল। এর মধ্যে প্রথমটি হলো, তাকে বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। দ্বিতীয়
শর্তটি হলো, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। তখন করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে
তার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে ৬ মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়।
এরপর থেকে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ছয় মাস অন্তর অন্তর তার মুক্তির
মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।